জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনা সদর উপজেলার কালীরতবক গ্রামের আবদুল আলীম ও বনি আমিন নামে দুই যুবক ৮০ শতক জমিতে বর্ষাকালে তরমুজ আবাদ করে সফল হয়েছেন। তাদের এ সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক অসময়ে তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, ৮০ শতক জমিতে মে মাসের শেষের দিকে তারা ৩৫০টি চারা রোপণ করেন। চারা গুলো পরিচর্যা করলে তা বেড়ে ওঠে। এরপর পুকুরের মধ্যে খুঁটি পুঁতে জাল দিয়ে লতাগুলো জালের ওপর তুলে দিলে সেগুলো বেড়ে উঠতে থাকে। ইতোমধ্যে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছেন তারা। এবার ৩৫০টি গাছে ১ হাজার ২০০ তরমুজ আসবে বলে আশা করছেন দুই ভাই। প্রতিটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৩ কেজি। যা কেজি প্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবার তরমুজ আবাদে ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচের বিপরীতে ১ লাখ টাকার ওপরে তরমুজ বিক্রি হবে বলে জানান আলীম।
বনি আমিন বলেন, দুই ভাই মিলে বাড়ির সামনের জমিতে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা করি। এরপর জমি প্রস্তুত করে তরমুজ আবাদ করি। প্রথমে অনেকেই অসময়ে তরমুজ চাষ করা নিয়ে হাসিঠাট্টা করলেও আমাদের সফলতা দেখে তারাই পরামর্শ নিতে আসেন।
আবদুল আলীম বলেন, চলতি মৌসুমে দেড় হাজার তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। ওজনে ৩ থেকে ৫ কেজি। দেড় হাজার তরমুজ প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাড়ি থেকেই।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দেওয়া গেলে একদিকে যেমন তরমুজ সারা বছর পাওয়া যাবে, অন্যদিকে চাষিরাও লাভবান হবেন। যারা এই জাতের তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী, কৃষি অফিস থেকে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।