জুমবাংলা ডেস্ক : বর্তমানে বাজারে এক কেজি পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ভালো দাম থাকায় লাভের আশায় আলু চাষে ঝুঁকছেন দিনাজপুরের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় এলাকার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিঘাপ্রতি ২ পাওয়ার টিলার গোবর, ১ বস্তা ডেপ, টিএসপি ৩০ কেজি, ১ বস্তা পটাস, ১ বস্তা ইউরিয়া, ১ বস্তা জিপ সার, ১ কেজি বরন, ১ কেজি দস্তা ও ১ কেজি মেকসার দিয়ে আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন কৃষকরা।
অনেক কৃষক জমি তৈরি করে বীজ আলু জমিতে লাইন ধরে রোপণ করছেন। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩ মণ বীজ আলুর প্রয়োজন হয়। এসব বীজ আলু ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি হিসেবে কিনছেন তারা। এক বিঘা জমিতে আলু চাষে খরচ হয় ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ মণ আলু পাওয়া যাবে।
আলুচাষি মজিবুর রহমান বলেন, প্রতি বছর এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। এবার ভালো দাম থাকায় ৬ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। আগামী অগ্রহায়ণ মাসেই আলু বাজারজাত করতে পারব। প্রতি বছর নতুন আলু ১০০ টাকার উপরে দাম পাই। আশা করছি এবারও ভালো দাম পাব।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ৪৩৭ হেক্টর জমিতে আলু চাষ সম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়া, আগাম আলু চাষ হয়েছে ২০০ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা ভালো দাম পাবার আশায় আগাম আলু চাষ শুরু করেছেন। আমরা চাষিদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে আসছি।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ করে বর্তমান আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চাষিরা। জেলায় এবার ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে, ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ সম্পূর্ণ হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে আলুর আশানুরূপ ফলন হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।