জুমবাংলা ডেস্ক : আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটের বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় খলিলুর রহমান একজন এস এম ই কৃষক। তিনি উন্নতমানের ব্রি-৯৩ জাতের ধানের বীজ বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা উপার্জন করে।
কৃষক খলিলুর রহমান গত ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৫ একর জমিতে ব্রি-৯৩ জাতের ধান আবাদ করেন এবং ১৪ টন ধানের বীজ সংরক্ষণ করেন। পরবর্তীতে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতায় বীজ বিক্রি করে প্রায় ৫লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। ফলে উচ্চফলন শীল ধানের জাতটি সম্প্রসারণের পাশাপাশি সরিষা চাষের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। ধানের জাতটি ভারতীয় স্বর্না জাতের চেয়ে ফলন বেশি এবং রোগ বালাই কম।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতায় কৃষক খলিলুর রহমান ব্রি-৯৩ জাতের ধানের প্রজেক্ট নিয়ে স্বাবলম্বী। তিনি ২১-২২ অর্থ বছরে কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে ৫০ কেজি ব্রি-৯৩জাতের ধানের বীজ নিয়ে ৫ একর জমি চাষ করে। ৫ একর জমিতে ধানের ফলন হয়েছে ১৪ টন। তার মধ্যে চলতি মৌসুমে ৩১২ মন ধানের বীজ উপজেলার বিভিন্ন কৃষকের কাছে বিক্রি করেছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকায। কৃষক খলিলুর রহমান উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ফরিঙ্গাদিঘী নামক এলাকার বাসিন্দা।
ওই এলাকার নেকমরদ ফরিদপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব সাশুল আলম, আনসার আলী, মানিক, আবুল কালাম আজাদ কাইয়ুম, মতিউর রহমান, শ্রেী ভবেশ চন্দ্রসহ আরো অনেক কৃষক ব্রি-৯৩ জাতের ধান চাষ করেছেন। তারা খলিলূর রহমানের মত স্বপ্ন দেখছেন।
খুলিলুর রহমান জানান, তিনি ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ ধান গবেষনা ইনিস্টিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। তিনি অন্যান্য কৃষদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, খুলিলুর রহমান একজন এসএমই কৃষক। তিনি কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে ৫০ কেজি ব্রি-৯৩ জাতের ধানের বীজ নিয়ে ৫ একর জমিতে ১৪ টন ধানের বীজ সংরক্ষণ করে। তিনি কৃষকের কাছে ধানের বীজ বিক্রি করে ৫লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। খলিল এখন স্বাবলম্বী কৃষক।
৩০০ টাকা কেজি হাঁকাচ্ছে কাঁচা মরিচ, ভারত থেকে আমদানির অনুমতি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।