রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালাম আজাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের শেষ স্ট্যাটাসে জীবন থেকে পালানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “ইচ্ছা তো অনেক, আপাতত যদি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে পারতাম।” কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই ইচ্ছা বাস্তবে পরিণত হয়।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ব্যক্তিগত কাজে ফার্মগেটে যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের পিলার থেকে সরে যাওয়া ভারি বিয়ারিং প্যাড তার মাথায় আঘাত হানে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবুল কালাম আজাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করতেন। ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত ফার্মগেট এলাকায় যাতায়াত করতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট আবুল কালাম স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাঠানতলি এলাকায় বসবাস করতেন। তার ছেলে আব্দুল্লাহ (৫) এবং মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (৩)। পরিবারে তিনি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান জানিয়েছেন, “আমরা খবর পেয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
উত্তরাখণ্ডের ৫ সুন্দরী অভিনেত্রী, যারা বলিউডে ছড়িয়েছে উজ্জ্বলতা
ফার্মগেট মেট্রোরেল দুর্ঘটনা এক পরিবারকে অপ্রতিরোধ্য শোকের সঙ্গে সম্মুখীন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিহতের শেষ স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে জনমনে আরও শোক ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



