জুমবাংলা ডেস্ক : ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল-জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে করা এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করে জয়লাভের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক জানিয়েছে, তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘিরে এ অনুসন্ধান চলবে।
এছাড়া দুদক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সারাদেশের প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছেন। এক্ষেত্রে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই নির্বাচনে ৬৪টি জেলার ডিসি এবং এসপিদের তালিকা ও তাদের ভূমিকার বিস্তারিত তথ্য দুদকে জমা পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে দুদকে একটি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ, নির্বাচনের ফলাফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়া সে সময় সারাদেশের প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের ঢাকায় এনে নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে কি বার্তা দেওয়া হয়েছিল তারও তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওই নির্বাচনে জিতে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই পায় ২৫৭টি আসন।
POCO F7 Ultra শীঘ্রই আসছে, Redmi K80 Pro-এর রিব্র্যান্ড ভার্সন?
অপরদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি ও সমমনা দলগুলো পায় মাত্র সাতটি আসন। অধিকাংশ ভোট আগের রাতে হয়ে যাওয়ার অভিযোগের মধ্যে বিরোধীদের ভাষায় সে নির্বাচনের নাম হয় নিশিরাতের নির্বাচন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।