লাইফস্টাইল ডেস্ক : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম অপরাধের জন্য বিভিন্ন ভাবে সাজা প্রদান করে থাকে। অপরাধের মাত্র লঘু থেকে মারাত্মক হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী শাস্তিও কঠিন হয়ে থাকে। যেমন আমাদের দেশে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
আবার সৌদি আরবে শিরচ্ছেদ। আমরা সকলেই দেখেছি জর্জ সাব ফাঁসি দেওয়ার পর তাঁর পেনের নিব ভেঙে দিয়ে থাকেন। আর কোন সাধারন সাজার জন্যে কাউকে ফাঁসি দেওয়া হয়ে থাকে না ।
কাউকে সাজা ঘোষনার পর তাঁর ফাঁসি দেওয়ার দিন ঠিক তখনি বলে দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই ফাঁসি দেওয়া অনেক গুলি পদ্ধতির মধ্যে হয়ে থাকে। আর আমরা সকলেই জানি ফাঁসির দিন অপরাধিকে ভোর ভোর ঘুম থেকে তোলা হয়ে থাকে।
তাকে খাবার খাওয়ান হয়ে থাকে, তাকে স্নান করান হয়ে থাকে। আর সঠিক সময়ে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়ে থাকে। আর আমরা সকলেই জানি এই ফাঁসি দেওয়ার কাজ জল্লাদ করে থাকে ।
আর আপনাদের জেনে অবাক লাগবে আমাদের দেশে ফাঁসি দেওয়া জল্লাদের সংখ্যা অনেক কম। আর যারা কোর্টের আদর্শের পালন করে অপরাধিকে ফাঁসি দিয়ে থাকে।
আর আপনারা দেখেছেন যখন কাউকে ফাঁসি দেওয়া হয়ে থাকে, জল্লাদ কয়েকটি প্রক্রিয়া পালন করে থাকে।আসলে জল্লাদ প্রথমে অপরাধির কানের কাছে যায় আর তাঁর কানের কাছে কি বলে থাকে আর তাঁর পর তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়ে থাকে।
আর আপনি কি জানেন জল্লাদ অপরাধির কানে কি বলে থাকে? আসলে জল্লাদ তাঁর কানে বলে থাকে হিন্দুকে রাম রাম আর মুসলিমকে স্যালাম। আমি আমার কর্তব্যে বাঁধা তাই আমি আমার কাজ করছি
আর তারপর ভালো কাজের প্রেরনার সাথে তাকে ফাঁসি দিয়ে থাকে। এছাড়া অনেক সময় জল্লাদ আসামীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে থাকেন এবং এটি তার দায়িত্ব বলে বলেন।
আর প্রথমে এই কাজটি করতে সকল জল্লাদকে একটি খারাপ বোধ হয়ে থাকে কিন্তু এটি পরে অভ্যাসে পরিনত হয়ে থাকে। আর এটি একটি খুব কঠিন কাজ। আর জল্লাদ সব সময় তাঁর ডিউটির জন্যে তৈরি থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।