জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সরকারের প্রথম থেকে চেষ্টা করা উচিত ছিল- একটি ভালো নির্বাচন কমিশন বসাবার জন্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো কথাবার্তা নাই। তারা কোনো রোডম্যাপ দেয় না। কবে নির্বাচন দেবে তাও বলে না।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাবেক মন্ত্রী হাফিজ উদ্দিন বলেন, তারা কী সংস্কার করছে- ছয়টি বিষয়ে সংস্কারের কথা বলেছে, অন্যান্য সংস্কারের ব্যাপারে তারা নিশ্চুপ আছে। আমরা বলতে চাই, এক মাস যথেষ্ট সময়। এখানে (অন্তর্বর্তী সরকার) যারা আছে, তারা দেশের কৃতি সন্তান, তাদের মেধা আছে, তারা বলুক।
তিনি বলেন, হাসিনার প্রেতাত্মারা এই সরকারের ওপর ভর করে আছে। পুরো পুলিশ বাহিনী, অন্যান্য বাহিনী, সব তো হাসিনার লোকেরা এখানে আছে। তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না মন্তব্য করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা তাদের সাফল্য চাই। সঠিক উপদেশ-পরামর্শ আমরা দিতে চাই। এদেশের ব্রাইট সন্তান হলো এই মুক্তিযোদ্ধারা। এই সরকারের উচিত ছিলো প্রথমেই এই মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠক করা। তারা এদেশটা স্বাধীন করেছে, কী স্বপ্ন তারা ধারণ করেছে, কী স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়ন হয় নাই- সেটি সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছে, তাদের কাছ থেকে শুনে নেয়া উচিত ছিল। আমি আশা করব, প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বসবেন।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, এই বিপ্লব সেই দিনই সম্পন্ন হবে- যেদিন ১৭ বছর লুটতরাজ যারা করেছে, দেশের ব্যাংকসমূহকে যারা ফোকলা করে দিয়েছে, যারা মানুষ হত্যা করেছে, যারা গুম-খুন করেছে, তাদের শাস্তির বিধান যেদিন করা হবে, সেদিনই এই বিপ্লব সাফল্যমণ্ডিত হবে। আমরা এই বিপ্লবের সাফল্য দেখতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান করণীয় হল- আমরা এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করব বাংলাদেশে, যারা একাত্তরের চেতনাকে বাস্তবায়িত করবে, অগাস্ট বিপ্লবের সাফল্যকেও যারা জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে আসবে, সেটাই হোক আমাদের আজকের দিনের অঙ্গীকার।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এদেশে সংবিধান সংশোধন করার অধিকার একমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের- এই কথাটি ভুলে যাবেন না। যতই পিএইচডি ডিগ্রি থাকুক, এটা নিয়ে আপনারা সংবিধান সংশোধন করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আপনারা সুপারিশমালা দিতে পারেন, আপনাদের প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দেখতে পারেন। রাজনৈতিক দলগুলো যদি গ্রহণযোগ্য মনে করে, সেটি তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট তারা নিয়ে নেবেন। কিন্তু নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া অন্যভাবে সংবিধান সংশোধন করা যায় না।
পুলিশের কাছে একগুচ্ছ তথ্য চেয়েছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মনীষ দেওয়ান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।