জুমবাংলা ডেস্ক: চলছে ধান কাটার মৌসুম। নাটোরের সিংড়ায় ফাতেমা ধানে বাম্পার ফলনে দারুন খুশি কৃষক আঃ বারিক। এবার তিনি ১৪ বিঘা জমিতে ফাতেমা ধান আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি ৪০ মন ধান পাবেন বলে আশাবাদী। এদিকে ফাতেমা ধানে ব্যপক ফলনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে এলাকা জুড়ে।
আঃ বারিক বলেন, আমি অনলাইনে ফাতেমা বীজ সম্পর্কে জানার পর ঢাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করি। ৪০০ টাকা কেজি বীজ কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি। সেখান থেকে নিজেই বীজতলা তৈরি করি। এধানে পরিচর্যা বেশি করলে ফলনও বেশি হয়। খরচ প্রায় ৮/১০ হাজার হয়।
এছাড়া তিনি ব্যবিলন -৩ ধান ২ বিঘা ও ন্যাশনাল এগ্রি কেয়ার-২ এক বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। এগুলোর ফলনও ৩৫ মনের উপরে হবে বলে তিনি আশাবাদী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝড়ে আশপাশের সব ধান পড়ে গেলেও ফাতেমা ধান নুইয়ে পড়েনি। প্রতিটা গোছা সুন্দর।
জানা যায়, অন্য ধানের মতোই এ ধানের চাষ পদ্ধতি। আউশ, আমন ও বোরো তিন মৌসুমেই এ ধানের চাষ করা যায়। গাছের উচ্চতা অন্য ধানের তুলনায় বেশি। গাছগুলো শক্ত হওয়ায় হেলে পড়ে না। আর এক একটি ধানের শীষে ৭০০-৭৫০টি করে ধান হয়।
সাধারণ ধানের তুলনায় ছয় গুণ বেশি। ফলে এর উৎপাদনও অনেক বেশি। রোগ ও পোকামাকড়ের হার তুলনামূলক কম। এ ছাড়া ভাতও খেতে খুব সুস্বাদু।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সেলিম রেজা বলেন, এটি একটি উচ্চ ফলনশীল ধান। তবে সরকারী ভাবে এখনো স্বীকৃতি পায়নি।
তবে এ ধান নিয়ে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষনা চলছে। তিনি আরো বলেন, সিংড়া উপজেলায় আরো কয়েকজন কৃষক এই ধান আবাদ করেছেন। তারা ও ভালো ফলন পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।