স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে সজ্জিত ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে একটি, বার্সেলোনা তাদের বর্ণাঢ্য ইতিহাসজুড়ে ৯২টি ট্রফি জিতেছে। স্পেনে রিয়ালের পর দ্বিতীয় সবচেয়ে সফল ক্লাব এই বার্সেলোনায় খেলেছে বেশকিছু বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। ক্রুইফ, মেসি, জাভি, আলভেসরা একসময় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বার্সেলোনায় খেলা সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই তৈরি করা হয়েছে সেরা একাদশ।
রিয়াল মাদ্রিদ স্পেনের সেরা ক্লাব হলেও একসময় বার্সার কাছে পাত্তাই পেত না তারা। দুবার ট্রেবল জেতা দলটির সেরা একাদশে স্পেনের খেলোয়াড়দের আধিপত্য বেশি। গোলডটকমের এক প্রতিবেদনে বার্সেলোনার সেরা একাদশের গোলরক্ষক পজিশনে রাখা হয়েছে স্পেনের কিপার ভিক্টর ভালদেসকে। ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বার্সাতে খেলেছেন ভালদেস। এই সময়ে তিনিই ছিলেন বার্সেলোনার এক নম্বর গোলরক্ষক। এই ১৩ মৌসুমে তিনি বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন ২১টি ট্রফি।
ডিফেন্ডেও আধিপত্য স্পেনের। রাইট ব্যাকে রাখা হয়েছে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় ড্যানি আলভেসকে, সেন্ট্রাল ব্যাকে আছেন স্পেনের দুই ডিফেন্ডার পিকে ও পুয়োল। আর লেফট ব্যাকে আছেন সের্গি বারজুয়ান। স্প্যানিশ এই ফুল ব্যাক বার্সেলোনায় খেলেছেন ১৯৯৩ থেকে ২০০২ পর্যন্ত।
মিডফিল্ডে রাখা হয়েছে জাভি, ইনিয়েস্তা ও বুস্কেটসকে। জাভি ও ইনিয়েস্তা শুধু বার্সেলোনারই সেরা মিডফিল্ডার নয়, অনেকের মতে তারা সর্বকালের সেরা মিডফিল্ডার। জাভি, ইনিয়েস্তা ও বুস্কেটস একই সময় মাঠ মাতিয়েছিলেন।
আর ফরোয়ার্ডে আছেন মেসি, ক্রুইফ এবং রোনালদিনহোকে। বার্সেলোনার একাদশে এই তিন ফুটবলারকে না রাখলে দলই সাজানো হতো না। কারণ সবারই জানা, বার্সেলোনায় এই তিন ফুটবলার কি করেছেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনায় খেলেছেন ক্রুইফ। তার অধীনে বার্সেলোনা স্পেনে তাদের রাজত্ব ফিরে পেয়েছে। এদিকে ২০০৩ থেকে ২০০৮ সালে বার্সেলোনায় দারুণ মৌসুম কাটিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রোনালদিনহো। ২০০৫ সালে তিনি জিতে নেন ব্যালন ডি’অর।
আর মেসির কথা আর কি বলব। ২০০৪-২০২১ পর্যন্ত এই ২১ বছরে মেসি বার্সেলোনাকে নিয়ে গেছেন এক অন্য উচ্চতায়। মেসি বার্সেলোনার হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ১০টি লিগ শিরোপা, ৭টি কোপা দেল রে, ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ৩টি সুপার কাপ জিতেছেন। আর সঙ্গে আছে সাতটি ব্যালন ডি’অর। মেসির কল্যাণে সব ট্রফিই জিতেছে বার্সেলোনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।