জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)-এর সর্বস্তরের প্রিয়মুখ ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল মান্নান আর নেই।
সোমবার (৮ মে) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই নানা রোগে ভুগছিলেন আব্দুল মান্নান। তার এক হাত অবশ হয়ে গেলে কাজহীন হয়ে পড়েন। এমন অবস্থায় এরপর তার চিকিৎসা খরচ এবং এফডিসি থেকে বাড়ি ফিরতে উদ্যোগ নেয় কজন বিনোদন সাংবাদিক। মোল্লার বিদায়কে ঘিরে এই তরুণ সাংবাদিকরা আয়োজন করেছিল ‘মোল্লা যাবে বাড়ি’ স্লোগান নিয়ে ৩ দিনব্যাপী মুড়ি উৎসবের।
রঙিন দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে দীর্ঘ ৪৮ বছর পর ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি আপন ভুবনে ফিরে যান এফডিসির মুড়ি বিক্রেতা আব্দুল মান্নান মোল্লা। সবার কাছে যিনি মোল্লা নামেই পরিচিত। শারীরিক অসুস্থতা আর সিনেমার কাজ কম হওয়ায় অচল হয়ে পড়েন সবার প্রিয় মোল্লা।
এমন অবস্থায় তার বাড়ি ফিরতে পাশে এসে দাঁড়ান একদল বিনোদন সাংবাদিক। তাদের প্রচেষ্টায় তারকা শিল্পীদের সহযোগিতায় আব্দুল মান্নান মোল্লা ১ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে এফডিসি ত্যাগ করে ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ ছেড়ে চলে যান প্রিয় আঙিনায়। এরপর বেশ ভালোই যাচ্ছিল তার দিন-রাত। তবে সবাইকে রেখে না ফেরার দেশে এফডিসির মোল্লা।
এফডিসির সুপরিচিত ঝালমুড়ি বিক্রেতার মো. আব্দুল মান্নান তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। ছেলে-মেয়েরা নিজেদের সংসার নিয়ে আলাদা। ছোট ছেলে এখনো পড়াশুনা করছে।
মোল্লার হাতের ঝালমুড়ি খেয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, সালমান শাহ, মান্না, রিয়াজ, শাবনূর, ওমর সানী, মৌসুমী, ফেরদৌস, পপি, ডিপজল থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের প্রায় সকল চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী।
উল্লেখ্য, মোল্লাকে সম্মানের সাথে বিদায় জানাতে এফডিসিতে তিন দিনের মুড়ি উৎসবের আয়োজন করেছিলেন মাজহার বাবু, আহম্মেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রঞ্জু সরকার ও রুহুল আমিন ভূঁইয়া। যারা প্রত্যেকেই সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। তিন দিনের এ উৎসবে ব্যাপক সাড়া দেন সংস্কৃতি কর্মীরা। শেষ বিদায় মুড়ি উৎসবে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন শিল্পীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।