জুমবাংলা ডেস্ক : রমজানের আর তিন মাস বাকি। এখনও খেজুর আমদানির প্রস্তুতি নেননি ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, শুল্ক বাতিল করা না হলে, তারা খেজুর আমদানি করবেন না। এ পরিস্থিতিতে বাজারে খেজুর সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হতে পারে ১২ মার্চ। হিসেব করলে হাতে আর তিন মাসের মতো সময় রয়েছে। রমজানে দেশে খেজুরের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে আসন্ন রমজানে বাজারে পর্যাপ্ত খেজুর থাকবে কি-না, তা নিয়ে সংশয়ে দিন কাটছে ব্যবসায়ীদের।
এদিকে, প্রতিনিয়ত বাড়ছে খেজুরের দাম। ফলে কমছে ক্রেতা। অবিক্রিতই থেকে যাচ্ছে বেশিরভাগ খেজুর। দুশ্চিন্তার ভাঁজ খুচরা ও পাইকারি উভয় রকম বিক্রেতার কপালে।
দেশের বাজারে প্রতি কেজি মেডজুয়েল খেজুরের দাম মানভেদে ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, কালমি ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং জিহাদি ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা।
খেজুরের চাহিদা না থাকার বিষয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দাম বাড়ার কারণে আমাদের বিক্রি কমে গেছে। ফলে পণ্য স্টোরেজে থেকে যাচ্ছে।’
এদিকে, খেজুরের আমদানি শুল্ক বাতিল করা না হলে, আসন্ন রমজানে দেশের বাজারে খেজুর সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা ভয় পাচ্ছি, কারণ এত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যে, পণ্য মূল্যের চেয়ে আমাদের দ্বিগুণ রাজস্ব দিতে হবে। এখন আমাদের আমদানি করা পণ্য যদি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তাহলে তো বিক্রি হবে না। ফলে আমরা মহাবিপদে পড়ে যাবো। তাছাড়া আমরা যদি এখন আমদানি করতে না পারি, তাহলে তো আমরা রমজান মাস ধরতে পারব না।
এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনকে এ বিষয়ে এরই মধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, খেজুর আমদানিতে বর্ধিত শুল্ক কমাতে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুল্ক কমাতে পারে না। তবে কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে অনুরোধ জানাতে পারে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় তা করা হয়ে থাকে। তবে রমজানে মানুষ যাতে খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজে কিনতে পারেন, সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, প্রতিবছর দেশে খেজুর আমদানি হয় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত খেজুর আমদানি হয়েছে কেবল দেড় থেকে দুই হাজার মেট্রিক টন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।