আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অনেকে যেমনটা প্রত্যাশা করেছিলেন, চীনের শিশু জন্মহার তার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এমনকি জন্মহার এতটাই কমে গেছে যে তা জনসংখ্যাগত বিপর্যয় শঙ্কা জাগিয়েছে। প্রায় চার দশক আগে ভুল হিসাবের খেসারত দিতে হচ্ছে এখন।
বলা যায়, রকেটের হিসাব জনসংখ্যার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু চার দশক পর দেখা যাচ্ছে যে অর্থনীতিবিদেরা যেমনটা ধারণা করেছিলেন, চীনারা তার চেয়েও বেশি বুড়িয়ে গেছে। জন্মহার কমে যাওয়া এবং বয়স্ক লোক বেড়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। চীনে এখন এমন প্রজন্ম রয়েছে, যাদের কোনো ভাইবোন নেই। আবার তারা নিজেরা এখন সন্তান নিতে আগ্রহী নন।
পরিণামে গত বছর চীনে লোকসংখ্যা কমেছে পাঁচ লাখ। সরকারি হিসাবেই এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাংহাই অ্যাকাডেমি অব সোস্যাল সায়েন্সেস ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ চীনের জনসংখ্যা হবে মাত্রা ৫২৫ মিলিয়ন। অর্থাৎ বর্তমানের ১.৪ বিলিয়ন লোকদের দেশ থেকে প্রায় অর্ধেক লোক কমে যাবে।
প্রায় চার দশক আগে চীনে এক সন্তান নীতি এই ভয়ে গ্রহণ করা হয়েছিল যে জনসংখ্যা বাড়তে দিতে থাকলে তা এতটাই বেড়ে যাবে যে এক শ’ বছরের মধ্যে চার শ’ কোটি লোককে খাওয়াতে হবে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব হবে না। তারা কঠোরভাবে এক সন্তান নীতি অবলম্বন করেন।
অবশ্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে এই শঙ্কা কেবল চীনেই ছিল না। ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে বিশ্বজুড়েই তা ছিল। প্রায় ২০০ বছর আগে অর্থনীতিবিদ টমাস ম্যালথাসের খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি তত্ত্বই বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেছিল।
তবে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর চীনই বিষয়টির ওপর সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি আরোপ করেছিল।
কিন্তু এখন জনসংখ্যা বাড়ানোর প্রকল্পও ফলপ্রসূ হচ্ছে না। নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়েও সন্তান গ্রহণ করতে দম্পতিদের রাজি করানো যাচ্ছে না।
সূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।