জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন রেকর্ডের পথে ফেব্রুয়ারি মাসে আসা রেমিটেন্সপ্রবাহ। চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার, যা দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফেব্রুয়ারি মাসে দুই বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্সের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এমন স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রবাসীদের সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদের। চলতি অর্থবছর প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়নের বেশি রেমিটেন্স এসেছে ২০২৪ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে।
ওই মাসে রেমিটেন্স আসে ২১০ দশমিক ১০ কোটি ডলার। গত জুনের পর যা সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের জুনে এসেছিল ২১৯ দশমিক ৯১ কোটি ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার এসেছে। দৈনিক গড়ে এসেছে ৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার করে। অথচ গত মাসে দৈনিক গড়ে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলার করে।
গড় হিসাবে ফেব্রুয়ারির মাসিক প্রবাসী আয়ের যোগফল দাঁড়ায় ২০৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। চলতি মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪০ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং বিদেশী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিটোন্স।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিটেন্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিটেন্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা ছিল সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিটেন্স। চলতি মাসের শুরুতে অর্থাৎ গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০৯ কোটি ডলার। ২০ ফেব্রুয়ারি এটি বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৩২ কোটি ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক নিয়মে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, ২০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ২০ কোটি ডলারে।
যা মাসের শুরুতে ছিল ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ডলার। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিটেন্স যোদ্ধাকে সামাজিক মর্যাদা বাড়ালে, তা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ রেমিটেন্স আসার কথা, সেই পরিমাণ রেমিটেন্স বৈধ চ্যানেলে আসছে না। যারা প্রবাসী, তাদের যদি আমরা একটি রেমিটেন্স কার্ড দিই, তাহলে তারা সম্মানবোধ করবে। তারা সেই কার্ড যদি বিমানবন্দরে দেখান, তাহলে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
অথবা তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে বা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তারা কার্ডের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা পাবেন। সেটি যদি দেওয়া যায়, তাহলেও কাজে আসবে।’ সম্প্রতি নার্স নিয়োগের সুযোগ দিয়ে দক্ষ কর্মী পাঠানোর যে পথ উন্মুক্ত করেছে সৌদি; সেই পথে ইউরোপে বাজার সম্প্রসারণের পরামর্শ দিচ্ছে অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু), যা দীর্ঘ মেয়াদে প্রবাসী আয়ের প্রবাহকে শক্তিশালী করবে বলে মনে করে সংস্থাটি।
মালিক ঘরে না থাকলে কুকুর কী করে? গোপন ক্যামেরার ভিডিও ভাইরাল
এ বিষয়ে রামরুর প্রোগ্রাম পরিচালক মেরিনা সুলতানা বলেন, ‘ইউরোপে নার্সিংয়ের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তাহলে আমাদের যদি যে পরিমাণ নার্স তৈরি হয়; সেখানে যদি এই মেকানিজমটি ডেভেলপ হয়; যদি একটি সহযোগিতাপূর্ণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নার্সিংয়ের জায়গাগুলোয় ফোকাস করা যায়, তাহলে কিন্তু অবশ্যই কাজের জায়গা, পরিধি ও এর সুবিধা অনেকাংশে বাড়বে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।