বিনোদন ডেস্ক : সুস্থ ও স্লিম থাকতে কে না চান। তবে শরীরে মেদ জমার কারণে দেখা দেয় নানা সমস্যা। স্থূলতা নানা রোগের কারণ হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে সাধারণ মানুষের চেয়ে তারাকারা একটু বেশিই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকেন। শরীরের সব স্থানই যেন তাদের পারফেক্ট। এজন্য অবশ্য অদম্য পরিশ্রম করেন তারা।
শুধু বলিউড তারাকারাই নয় বরং বাংলা ছবির নায়ক-নায়িকারাও স্বাস্থ্য সচেতন। বর্তমানে সবাই ফিট থাকতে নিয়ম মেনে করেন ডায়েট ও শরীরচর্চা।
সম্প্রতি ভারতীয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের ১৫ কেজি ওজন ঝরানোর খবর নিশ্চয়ই আপনিও জানেন। ওজনের কারণে বেশ কয়েকটি ছবিও হাতছাড়া করতে হয়েছে তাকে। অবশেষে স্লিম হয়ে দেখালেন এই অভিনেত্রী।
ঠিক একইভাবে টলিউডের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে মধুমিতা সরকার- সবাই স্বাস্থ্য সচেতন। শ্যুটিংয়ের দ্বিপ্রাহরিক অবসরে মেনুতে কী রাখেন তারা? অবশ্য একেক তারকার খাওয়ার নিয়ম ভিন্ন। জানা গেছে, ছোট পর্দার ‘পাখি’ অর্থাৎ মধুমিতা সরকার স্লিম থাকতে ভাত-রুটির মতো শক্ত খাবার খান না! তিনি তরল খাবার খেতেই পছন্দ করেন। তার ডায়েটে অবশ্যই থাকে ছাতুর সরবত!
তরল খাবার ঝটপট পেট ভরিয়ে দেয়। অন্যদিকে ওজন বাড়ায় না। আর ছাতুর সরবতে পুষ্টিগুণ প্রচুর। অ্যানার্জি ড্রিঙ্ক হিসেবে তাই বারবার এই পানীয়ই পান করেন মধুমিতা। এর পাশাপাশি চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফিও পছন্দের পানীয় মধুমিতার। সেটাও কিছুক্ষণ পরপর পান করেন। দুপুরে বা শ্যুটের অবসরে এর বাইরে তিনি কিছু খান না!
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের পাতে আবার ডাল-ভাত, মাছ বা মাংস, সবজি দিয়ে সাজানো থাকে। ভরপেট খাবার খান তিনি। ভাতের সঙ্গে রুটিও রাখেন পাতে। যাতে পুষ্টিতে কমতি না থাকে। পাশাপাশি দোসা ও স্যান্ডউইচও খান তিনি। টোনড ফিগার ধরে রাখতে মিমি চক্রবর্তী গ্রিলড করা খাবার বেশি খান। গ্রিল করা মাছ ও মুরগির মাংস তার পছন্দের খাবার। আবার খেতে ভালবাসেন কন্টিনেন্টাল যে কোনো পদ।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পছন্দ স্যান্ডউইচ আর স্যুপ। ভারী খাবার খেতে নারাজ তিনি। আবার পুষ্টিতে যাতে কমতি না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখেন পরমব্রত। তার খাবারে মাছ, মাংস ও প্রচুর সবজি থাকে। এসব উপকরণ দিয়ে তৈরি স্যুপও তার পছন্দের।
বয়স ৬০ হলেও শরীরে তার ছাপ পড়েনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি আজও চিরসবুজ। কী খেয়ে তিনি এখনো চির সবুজ? বুম্বাদা নাকি তেমন কিছুই খান না। তিনিও ভারী খাবার খেতে ভালোবাসেন না।
বাইরের খাবারও ছুঁয়ে দেখেন না। বাড়ির রান্না করা খাবারই খান তিনি ৩ বেলা। আর ক্ষুধা লাগলে শুধু শসা আর টকদই খান। হয়তো কখনো একটি ফল অথবা ফলের রস খেয়ে নেন। সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।