দীর্ঘদিন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে থাকলে একপর্যায়ে সপ্ন পূরণে পরিবারের সহোযোগিতায় নিজের কঠোর পরিশ্রমে মাশরুম চাষ করে সফলতা পেয়েছে নারী উদ্যোক্তা জিনিয়া আক্তার।
বুধবার (৮ মার্চ) সকালে উপজেলার বরগুনা সদর ইউনিয়নের ক্রোক এলাকায় জিনিয়া আক্তার এর বাসায় গিয়ে দেখা যায় বাবার বাড়িতে নিজেদের থাকার ছোট টিনের ঘরে মধ্যে এক পাশে স্পন প্যাকেট তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন মাশরুম চাষ। এতে প্রথম দিকে মাত্র ৩ বছরে তার লাভ হয় তিন লক্ষ ৬০টাকা। এরপর তিনি ঘরের পাশে পতিত জমিতে আরও বড় আকারে শুরু করেন মাশরুম চাষ পদ্ধতি।
জানা যায়, অভাবের কারণে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথমে মাত্র ১০০টি স্পন কিনে এনে চাষ শুরু করলেও এখন ৪০০ স্পন তৈরি করে তিনি বাণিজ্যিকভাবে করছেন মাশরুম চাষ। দেশের বিভিন্ন যায়গায় বিক্রি করেন মাশরুম। এতে বেশ লাভবানও হচ্ছেন তিনি। আর তার এই সাফল্য দেখে জেলায় অনেকেই শুরু করেছেন মাশরুম চাষ।
সোশাল মিডিয়া ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখে তার আগ্রহ জাগে মাশরুম চাষের। পরে ঢাকার সাভারে মাশরুম ইনস্টিটিউট থেকে কয়েক দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে বাসায় ফিরে নিজেই ছোট পরিসরে প্রজেক্ট হাতে নেয়। তা দিয়েই চলছে জিনিয়া ও তার পরিবার।
জিনিয়ার বাবা মোঃ শহিদুল ইসলাম রাসেদ বলেন, বিভিন্ন চায়নিজ রেস্তোরাঁর মালিক ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আমাদের এখান থেকে মাশরুম কিনে নিয়ে যায়। অর্ডার করে দুই- তিনদিন ধরে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে মাশরুম সরবরাহ করি। এখন খামারের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। সামনে আরো বাড়ানোর ইচ্ছে আছে। তাও হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
সফল নারী উদ্যোক্তা জিনিয়া আক্তার বলেন, কিছু একটা করে স্বাবলম্বী হওয়ার ইচ্ছে। সবশেষ তিন বছর আগে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কাজে নেমে গেলাম। মাশরুম লাভজনক চাষ। যত্ন নিলে সারা বছর কমবেশি ফলন পাওয়া যায়। তবে বীজের অভাবে অনেকেই মাশরুম চাষ করতে পারছে না। অধিকাংশ মানুষ বাইরে থেকে বীজ সংগ্রহ করে মাশরুম চাষ করছে। এখন আগ্রহীরা তার কাছে বীজ পাবে বলেও জানান তিনি। কিন্তু এখানে পুরো মাসজুড়ে মাশরুম চাষে সময় দিচ্ছি। এতে যা পাই তা দিয়ে সংসার চলে যাচ্ছে। আমার যেহেতু ছোট প্রোজেক্ট তাই ত্রিশ হাজার টাকা গড়ে আসে। আমার দেখা দেখি এখন অনেকেই মাশরুম চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, সবজি হিসেবে মানুষের মধ্যে মাশরুম এখন বেশ জনপ্রিয়। বাজারে এটির চাহিদাও অনেক। অনেকের মত জিনিয়া কঠোর পরিশ্রমে মাশরুম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। সেখানে তার পরিবারও কাজ করছে। এটি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হবে। উনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। নারী দিবসে তার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
সূর্যমুখীর চাষে সফল ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকরা, বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।