বিনোদন ডেস্ক: ফেরদৌস আহমেদ। তারকা অভিনেতা। ঈদের পরে কাজ শুরু করেছেন ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ ও ‘মানিকের লালকাঁকড়া’ ছবির। উপস্থাপনাও করছেন। দুই ছবি, বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেন দৈনিক সমকালের সঙ্গে। প্রতিবেদনটি করেছেন সমকালের প্রতিবেদক এমদাদুল হক মিলটন।
শুনেছি ঈদের পর সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন?
হ্যাঁ, সিনেমার কাজ নিয়ে এই সময়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। গত ১৩ মে আফজাল হোসেনের পরিচালনায় ‘মানিকের লালকাঁকড়া’ ও পরদিনই হূদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ ছবির কাজ শেষ করেছি।
ছবি দুটিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
এক কথায় যদি বলি তাহলে বলব অসাধারণ। ‘মানিকের লালকাঁকড়া’ সময়োপযোগী বিষয় নিয়ে নির্মিত হয়েছে। ছবিতে লেখকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। সময়ের বড় অসঙ্গতির কথা তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতাও ছিল ভালো। ভীষণ পারফেকশনিস্ট নির্মাতা হূদি হক। তিনি ধরে ধরে কাজ করেন। একটি ছবি যেভাবে নির্মাণ হওয়া উচিত, সেভাবেই হয়েছে। এখানে আমার চরিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের। দুটিই অনুদানের ছবি।
ইদানীং অনুদানের ছবিতে বেশি কাজ করছেন। এর পেছনে বিশেষ কোনো দুর্বলতা আছে?
এটি সত্যি যে, শুধু অনুদানের ছবি নয়, আমার ভালো কাজের প্রতি আলাদা দুর্বলতা রয়েছে। ভালো চিত্রনাট্য দেখে সরকার সিনেমায় অনুদান দেয়। এ ধরনের সিনেমার প্রস্তাব পেলে ভাবি, এতে আমার কী করণীয় আছে।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় দুই বছর পর কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে নতুন কোনো কাজের ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছে?
গত বিশ বছর ধরে কলকাতার ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে আসছি। দেশেই অনেক সিনেমায় অভিনয় করছি। কলকাতার ছবিতে কাজের সময় কোথায়। তবে কলকাতার কয়েকজন নির্মাতা আমাকে কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন। গল্প ও চরিত্র নিয়ে কথা হচ্ছে।
ক্যারিয়ারে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছেন। বিশেষ কোনো চরিত্রের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে?
দু’তিনটি ছবি ছাড়া আমি আর কোনো ছবিতে কাজ করে শতভাগ তৃপ্তি পাইনি। এই সময়ে এটাই মনে হয়েছে। আমি মনে করি, আমার অভিনয় সত্তাকে শতভাগ কাজে লাগানো হয়নি। সেই জায়গা থেকে কিছু অতৃপ্তি অবশ্যই রয়ে যায়। গঙ্গাযাত্রা’র মতো যদি আরেকটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাই তাহলে আরও অনেক বেশি জাস্টিফাই করতে পারব। তখন নিজেকে আরও ভাঙবো, চুড়বো- সেরকম একটি চরিত্রের অপেক্ষায় আছি।
সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতা হয়েছেন। শিল্পীদের স্বার্থরক্ষায় নতুন কোনো কাজ করছেন?
শিল্পী সমিতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করা। করোনায় অনেক শিল্পীর কাজ ছিল না। তাঁদের কল্যাণে কিছু করছি। শিল্পীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু কাজ করব, যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সামাজিকমাধ্যম এড়িয়ে চলতেন। এখন সরব আপনি…
কখনোই সামাজিকমাধ্যমের প্রতি ঝোঁক ছিল না। দেখলাম যে, ভক্তদের সঙ্গে আমার দূরত্ব বাড়ছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফেসবুকে ভেরিফায়েড অফিশিয়াল ফ্যান পেজ রয়েছে। নিজে সামাজিকমাধ্যমে ততটা সক্রিয় না থাকতে পারি, কিন্তু আমার ভক্তদের তো জানার অধিকার আছে আমি কী করছি, না করছি। সেই চিন্তা থেকেই এটি খোলা। দেখুন, সময়কে উপেক্ষা করা যায় না। সময়ের দাবি মেটাতে যতটুকু সম্ভব সামাজিকমাধ্যমে যুক্ত থাকার চেষ্টা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।