আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে দেশটির সেনাবাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। রাখাইনের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকারের বাহিনী। ফলে নতুন করে ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন ছাড়তে শুরু করেছে হাজারো অধিবাসী। সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত কিয়াকতাউ শহরে সেনাবাহিনীর নবম মিলিটারি অপারেশন্স কমান্ডে (এমওসি-৯) হামলা চালিয়েছে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। রাখাইনের কালাদান উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ এই শহরে সেনাবাহিনীর অবস্থানে আরাকান আর্মির হামলার পর সেখানে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনাজারা নিউজ। সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কিয়াকতাউ শহরে শুক্রবার দিনভর লড়াই হয়েছে। যা মধ্যরাত থেকে তীব্র আকার ধারণ করে।
সূত্রটি বলেছে, ‘এমওসি-৯-এ আরাকান আর্মির সদস্যরা গত তিন থেকে চারদিন ধরে হামলা চালাচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। আমরা জানতে পেরেছি আরাকান আর্মি সেখানে এগিয়ে আছে এবং এমওসি-৯ এর কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে।’
রাখাইনের বুচিডংয়ে ফুমালি রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে শুক্রবার থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এতে বহু রোহিঙ্গা নিহতের খবর পাওয়া গেছে। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ে খোঁজে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা।
গেলো অক্টোবরে মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী, ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’, ‘আরাকান আর্মি’ ও ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’- থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে নয়া জোট গঠন করে। সেসময় থেকে তারা মিয়ানমারের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সেনাবাহিনীর বেশ কিছু শিবিরও দখল করেছে আরাকান আর্মি। গেলো সপ্তাহে, প্রায় তিনশো জান্তা সেনা আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
আরাকান আর্মির কাছে একের পর এক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক জান্তা। বুধবার রাখাইনের বন্দরনগরী পকতাও-এর দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকার টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.