স্পোর্টস ডেস্ক : ফিফা তার সদস্য দেশগুলোকে নানাভাবে সহযোগিতা করে। বাৎসরিক অনুদান দেওয়া থেকে শুরু করে নানা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ফিফা তার সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা দিয়ে আসছে। প্রকল্প নিতে হলে সদস্য দেশগুলোকে শর্ত পূরণ করতে হয়। অন্যথায় ফিফার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে পারবে না। আগামী চার বছরের জন্য বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তার মেয়াদে ফিফার যেসব প্রকল্প গ্রহণ করার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে আসবে, তার সবকয়টি লুফে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
ফিফার টেবিলে সদস্য দেশগুলোর জন্য কী কী প্রকল্প রয়েছে তা জানতে চাইবেন তাবিথ। কোন প্রকল্পটি গ্রহণ করতে হলে কী করতে হবে সেটি নিয়ে ফিফার সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। একটি প্রকল্প যেন হারিয়ে না যায় তার সর্বোচ্চ সুযোগ গ্রহণ করতে চান তাবিথ। এরই মধ্যে ফিফার লোকজনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে নতুন সভাপতির। তারা তাবিথ আউয়ালকে নতুন সভাপতি হিসেবে সাদরে গ্রহণ করেছেন, অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং এই তরুণ সভাপতির প্রতি আস্থা রাখছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা ফিফার প্রতিনিধিরা।
গত ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের রাতেই ফিফার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাবিথ আউয়ালের। বৈঠক সূত্রের খবর-তাবিথ বাংলাদেশের ফুটবলে অনেক কাজ করতে পারবেন। তিনি তরুণ এবং সামর্থ্যবান। তাবিথের সঙ্গে কথা বলে তার মনমানসিকতা উপলব্ধি করছেন ফিফার প্রতিনিধিরা। তাবিথ আউয়াল জানিয়েছেন, ফিফার যেসব প্রতিনিধি ঢাকায় এসেছিলেন তারা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাকে সব রকম সহযোগিতা করবেন জানিয়েছেন। ফিফার যেসব প্রকল্প রয়েছে তার সব আমরা গ্রহণ করতে চাই। কী কী প্রকল্প রয়েছে তারও একটা সম্ভাব্য তালিকা শুনিয়েছেন। আমরা যেন সব প্রকল্প দেশের ফুটবলের জন্য নিয়ে আসতে পারি সেটা আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।’
ফিফার কাছ থেকে প্রকল্প গ্রহণ করতে হলে শুধু আবেদন করলেই চলবে না। ফিফার টেবিলে কথা বলার মতো একজন দক্ষ সংগঠকের প্রয়োজন। তাবিথের সঙ্গে সেটা নিয়েও কথা বলেছেন ঢাকায় আসা নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা। তারা পরামর্শ দিয়েছেন তাবিথকে। ফিফা এএফসিতে যেন এমন একজনকে পাঠানো হয় যিনি প্রকল্প সম্পর্কে ভালো বুঝেন এবং আদায় করে নিতে পারেন। আবেদন করলেই চট করে অনুমোদন হয়ে যাবে, বিষয়টা এমন না।
কী কী প্রকল্প পাওয়া যেতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা? বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উনারাই আমাকে বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলেছেন। কোনটা হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। কোন প্রকল্পটা বাংলাদেশ সহজেই আদায় করে নিতে পারবে। কোন কোন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে-এসব নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে। আমিও খুশি। আলোচ্য বিষয়গুলো যদি কাজে লাগিয়ে আদায় করে নিতে পারি সেটি দেশের ফুটবলের জন্যই মঙ্গল হবে। আমরা ভাবব কী কী প্রকল্প নিতে পারব। এখনই প্রকল্পগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাইছি না। আমাকে একটু সময় দিন। ভালো কিছুই আনব। মনে রাখবেন আমি সভাপতি হয়েছি ফুটবলের উন্নয়নের জন্য, ফিফার কাছ থেকে যা নেওয়া যায় প্রাপ্য সবকিছুই বুঝে নিব আমি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।