জুমবাংলা ডেস্ক : নীলফামারীর সৈয়দপুরে হাঁসের মাংস খাওয়া নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় মারামারি থেকে শুরু করে সড়ক অবরোধ, থানায় অভিযোগ শেষপর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য হোটেল–রেস্তোরাঁ বন্ধ ঘোষণা করেছেন হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক ও শ্রমিকেরা।
গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় তাজির উদ্দিন গ্র্যান্ড নামে একটি হোটেলে ওই ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল শনিবার সকাল থেকে হোটেল মালিক ও শ্রমিক সমিতি যৌথভাবে বন্ধ রাখার ওই ঘোষণা বাস্তবায়ন করেছে। এ ছাড়া হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তারা সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সৈয়দপুরের পিকআপ শ্রমিকদের কয়েকজন ওই হোটেলে খাবার খেতে যান। তখন হোটেল শ্রমিককে তারা হাঁসের মাংস পরিবেশন করতে বলেন। হোটেল শ্রমিক পরিবেশন করেন। তবে খাওয়ার পর সেগুলো ব্রয়লার মুরগির মাংস বলে অভিযোগ করেন পিকআপ শ্রমিকেরা।
এ নিয়ে হোটেল শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে আরও কয়েকজন পিকআপ শ্রমিক গিয়ে হোটেল শ্রমিকদের মারধর ও হোটেলের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সব হোটেল বন্ধ করে মালিক ও শ্রমিকেরা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে জমায়েত হন। তারা গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়ক (রংপুর রোড) অবরোধ করে রাখেন।
পরে পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে অবরোধকারীরা সড়ক থেকে সরে যান। তবে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ ঘোষণা করেন। শনিবার শহর ও আশপাশের আড়াই শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল।
সৈয়দপুর হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সখেন ঘোষ জানান, ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত হোটেল খোলা রাখলে মালিক সমিতি ও হোটেল শ্রমিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।