আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক বা দুই ঘণ্টা নয়- টানা ১৮ ঘণ্টা ধরে যমের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গেলেন তিনি। তিনি ইউরোপের উত্তর মেসিডোনিয়ার বাসিন্দা ইভান। সঙ্গী ছিল একটি মাত্র ফুটবল। উত্তাল সমুদ্রে সেই ফুটবলকেই খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরে বাঁচার লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সমুদ্রের ধারে ছিলেন। প্রবল স্রোতে আচমাকাই তলিয়ে যান। তারপর জলে ভাসতে ভালতে একটি ফুটবল দেখতে পান। সেটা ধরেই টানা ১৮ ঘণ্টা লড়াই করেছেন। ফুটবল আবার সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিল মাত্র দিন দশেক আগেই।
ফক্স নিউজের খবর অনুযায়ী ৩০ বছরের ইভান সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গীরা জানিয়েছিল গ্রিক কোস্টগার্ডকে। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় খোঁজা শুরু করেছিল কোস্টগার্ডের সদস্যরা। কিন্তু খুঁজে পায়নি। অন্যদিকে মাঝ সমুদ্রে প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে রীতিমত হাবুডুবু খাচ্ছিল ইভান। বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল। ধরে নিয়েছিল তাঁর সলিল সমাধি হবে। কিন্তু তখনই দেখতে পেয়েছিল সমুদ্রে ভেসে থাকা একটি প্রমাণ সাইজের ফুটবল।
কোনওক্রমে সেই ফুটবলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইভান। তারপরয়ই শুরু হয়েছিল বাঁচার লড়াই। ফুটবলকে ভর করেই শ্বাস নিয়েছিল। ঢেউয়ের মধ্যে বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছিল ফুটবল। ইভানও পরে মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, বলটি দেখতে পাওয়ার পরই তাঁর মনে কিছুটা জোর আসে। ভাসমান অবস্থায় বলটিতে আঁকড়ে ধরে রেখে এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। ১৮ ঘণ্টা পর গ্রিক কোস্টগার্ডের একটি বিমান ইভানকে সমুদ্রের মধ্যে খাবি খেতে দেখে। তারাই উদ্ধার করে। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বর্তমানে ইভানের অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে যে বল আঁকড়ে ধরে ইভান জীবনে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়েছিলেন সেই বলের মানিকেরও সন্ধান পাওয়া গেছে। । এক মহিলা জানিয়েছেন বলটি তাঁর দুই সন্তানের। প্রায় দশ দিন আরে সমুদ্রের ধারে তাঁর দুই সন্তান ফুটবল খেলছিল । তখনই সেটি হারিয়ে গিয়েছিলেন। তবে ইভান যেখানে বল পেয়েছে সেখান থেকে ওই স্থানের দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।