ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ জনে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার কিছু আগে সেবু প্রদেশের বোগো শহর উপকূলে আঘাত হানে এ ভূমিকম্প। এতে বহু ভবন ধসে পড়ে এবং শত বছরের পুরনো একটি চার্চ ভেঙে যায়। প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস করা সেবু প্রদেশ ফিলিপাইনের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র।
সরকার জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থা মাঠে কাজ করছে। প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং সারভাইভারদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দেন।
বোগো ও সেবুর পাশাপাশি প্রদেশের একাধিক শহর ও পৌরসভায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে এসব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। সেবু প্রদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
বিবিসি জানায়, সান রেমিজিও পৌরসভাতেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েকজন আটকা পড়ায় উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় তারা ঘুমাচ্ছিলেন। তীব্র কাঁপুনি টের পেয়ে আতঙ্কে সবাই ঘর ছেড়ে বাইরে চলে যান। উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী আর্চেল কোরাজা বলেন, ‘ভূমিকম্পের পর সমুদ্রের পানি সরে যেতে দেখেছি।’
খাগড়াছড়িতে সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পায়নি মেডিকেল বোর্ড
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার। এরপর একাধিক আফটারশক অনুভূত হয়, যার মধ্যে একটি ছিল ৬ মাত্রার। তবে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত। দেশটিতে প্রায়ই বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে।
সূত্র : রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।