জুমবাংলা ডেস্ক : ‘এখানেই দাঁড়িয়ে ছিলাম, খবর পেয়ে তেল নিতে চলে এলাম। দাম বেড়েছে অনেক। কাল কিনতে বেশি টাকা লাগবে। এজন্য তেল নিতে চলে এলাম’- কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোল, অকটেনের দাম বাড়ার খবরের পরপরই মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস-ট্রাক-পিকআপ ভ্যান নিয়ে ছুটে আসা চালকদের মধ্যে একজন বাইকার বললেন এ কথা।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সরকারি ঘোষণার পরপরই সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে দেখা গেল প্রচণ্ড ভিড়। যানবাহনের পাশাপাশি অনেকের হাতে বোতল, জার দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, বোতলে করে তেল নিলে ভালো হতো।
তেলের দাম বাড়ার পর পুরান ঢাকার কিউ জি সামদানী অ্যান্ড কোং ফিলিং স্টেশনের সামনে প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল, পাঁচ-সাতটি পিকআপ ভ্যানসহ আরও বেশ কয়েকটি বাস এসে জটলা পাকায় তেল নেওয়ার জন্য। সবাই ট্যাংক ভরে তেল নেওয়ায় একপর্যায়ে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ক্রেতাদের হই-হুল্লোড় এবং প্রতিবাদের মুখে আবার তেল বিক্রি শুরু করে।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ তেল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফিলিং স্টেশনের একজন কর্মী জানান, সবাই ট্যাংক ভরে তেল নিচ্ছেন। এতে তো অল্প সময়ের মধ্যে তেল শেষ হয়ে যাবে। তাই বিক্রি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, দাম বাড়ার পর সংকট দেখানোর জন্য বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ দাম বেড়েছে ৪০-৬০ টাকার মতো।
এরপর আবার তেল বিক্রি শুরু করা হলে হট্টগোল লেগে যায়। কে কার আগে তেল নেবে, তা নিয়ে বাইকারদের মধ্যে কথাকাটাকাটিও হতে দেখা যায়। এরই মধ্যে একজন বোতলে তেল নেবেন, তাই আবার বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। অবশ্য তেল নেওয়ার স্বার্থে নিজেরাই সমঝোতা করে নেন পরে।
ঢাকায় পিকআপ ভ্যান চালান সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার আহসান। তিনিও পিকআপ ভ্যান নিয়ে তেল নিতে এসেছেন। জানালেন, দাম বাড়ার খবর পেয়েছি। তাই চলে এলাম। কিন্তু যে জটলা এবং হুড়োহুড়ি দেখছি, তাতে তেল কখন পাব, তা জানা যাচ্ছে না।
রাত ১১টার দিকে এ ফিলিং স্টেশনের সামনে সারি সারি মোটরসাইকেল, বাস, পিকআপ ভ্যান আসতে দেখা গেছে। বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, রাত ১২টার পর থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে জ্বালানি তেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।