জুমবাংলা ডেস্ক : বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ২৭ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ১৯২, নারী ৮ হাজার ৮৮২ জন। এছাড়া নারী কোটায় ৬ হাজার ১৭৬ জন প্রার্থী রয়েছেন।
বুধবার এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে।
সুপারিশ প্রকাশের বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানায়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন ৩২ হাজার ৪৮০ প্রার্থী। তাদের মধ্য থেকে ২৭ হাজার ৭৪ জনকে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭ জন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভি-আর ফরম জমা দেননি। এজন্য তারা বাদ পড়েছেন। প্রাথমিক নির্বাচিত অবশিষ্ট ১ হাজার ৭৯৯ জনকে জাল সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা, বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করা, নিবন্ধন সনদ না থাকা সত্ত্বেও ভুল পদে আবেদন করায়, মামলার স্থগিতাদেশ থাকার কারণে নিযোগে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সুপারিশ পাওয়া ২৭ হাজার ৭৪ প্রার্থীর মধ্যে কলেজ ও স্কুলে যোগদান করতে পারবেন ১৩ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষক। এছাড়া মাদ্রাসায় ১১ হাজার ২৭৯ জন, কারিগরিতে ৫১৬ জন, সংযুক্ত স্কুলে ১ হাজার ৫৮৩ জন এবং সংযুক্ত মাদ্রাসায় ৬২১ জন যোগদান করবেন।
অন্যদিকে রাতেই সুপারিশ পাওয়া প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে এনটিআরসিএ। এছাড়া ফলাফল এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট পাওয়া যাচ্ছে।
আইনি জটিলতায় দুই দফা চূড়ান্ত সুপারিশ আটকে যায়। এতে প্রাথমিক নির্বাচিতরা চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে চাকরিতে যোগদানের অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন। এ নিয়ে ক্ষোভও ছিল তাদের মধ্যে। বুধবার আইনি জটিলতা কেটে যায়।
এনটিআরসিএ থেকে বুধবার বিকালে জানানো হয় আর কোনো বাধা নেই। যে কোনো দিন ফল প্রকাশ করা হতে পারে। এরপর সব প্রস্তুতি দ্রুত সেরে রাতেই কাঙ্খিত ফল পেলেন ২৭ হাজার ৭৪ জন হবু শিক্ষক।
২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।
এর প্রায় দেড় মাস পর তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। এরপর আরও দুই দফায় ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২৮ হাজারের মতো প্রার্থী ভি-রোল ফরম পূরণ করে চূড়ান্ত সুপারিশের অপেক্ষায় ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।