বিনোদন ডেস্ক : পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি তার ছবিতে সঙ্গীতকে ভিন্ন মাত্রা দেন। ‘হীরামন্ডি’ ওয়েব সিরিজও এর ব্যতিক্রম নয়। এই সিরিজের প্রতিটি গান ভক্তদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে ‘নজরিয়া কি মারি’ এই গানটি গিয়েছেন মধুবন্তী।
এই সিরিজের সময় ও প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে শাস্ত্রীয় সংগীত ঠুংরিকে বেছে নিয়েছেন বানসালি। ‘নজরিয়া কি মারি’ গানটি ঠুংরি ঘরানাতেই পড়ে। আর তাই সেই গানটির জন্যই মধুবন্তীকে বেছে নিয়েছিলেন ভন্সালী।
ভন্সালীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে মধুবন্তী বলেন, ‘প্রথম দিন ভয় লেগেছিল, পরে সহজ হই। তিনি কাজ নিয়ে খুবই সচেতন। পাশাপাশি গানবাজনা, শিল্প-সংস্কৃতি এসব নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসেন। আমার প্রথম করা কাজটায় উনি রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছিলেন। গানটির রেকর্ডিং হওয়ার পরে তিনি নিজেই ফোন করেন এবং টানা পাঁচ মিনিট কথা বলেন। আমি সে সব শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কোনও উত্তর দিতে পারিনি।’
তিনি বলেন,‘বর্তমানে যেভাবে গানের ইন্ডাস্ট্রি চলছে, আশা করিনি এ গান দর্শকদের মাঝে এমন সাড়া ফেলবে। এখনকার গানে তো একটা হুকলাইন থাকতে হয়। এসব কিছুই নেই আমাদের গানগুলিতে। ভন্সালী চাইলেই বর্তমান সঙ্গীতের মত এই গানগুলিতে আনতে পারতেন। এই গানে পশ্চিমাদের মতো গিটার বা কিবোর্ডের মতো যন্ত্রানুসঙ্গের ব্যবহার নেই।’
সাধারণত প্রথমবার শুনেই কারও গান পছন্দ করেন না সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। কিন্তু মধুবন্তীর ক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রথম দিন গায়িকাকে ভন্সালী বলেছিলেন, ‘প্রথম শুনেই কারও গান ভাল লাগছে, এমন খুব কমই হয়। ভাল লাগতে একটু সময় লাগে।’
কিন্তু মধুবন্তীর রেকর্ডিং ৪৫ মিনিটে হয়ে যাওয়ায় তার উপর ভরসা বাড়ে ভন্সালীর। আর তাই ‘হীরামন্ডি’র রেকর্ডিং-এর সময় মধুবন্তীর গান নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি তাকে। গানটিতে কিছু পরিবর্তন করতে হয়নি।
মধুবন্তী ছাড়া এই সিরিজে গান গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল, বর্ণালি চট্টোপাধ্যায়, রাজা হাসান, শিখা যোশি, কল্পনা গন্ধর্ব, শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ‘পঞ্চায়েত ৩’-এ একটি গান রয়েছে মধুবন্তীর। এ ছাড়া সঙ্গীত পরিচালক সচিন জিগর, অনুরাগ সাইকিয়ার সঙ্গেও আগামীতে কাজ করছেন গায়িকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।