বিনোদন ডেস্ক : ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক আলিয়া-সিদ্ধার্থ-বরুণের। সেই ছবিতে সিদ্ধার্থের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন আলিয়া।
ঠিক ১০ বছর আগের কথা। ২০১২ সালে বড়পর্দায় অভিষেক হয় তাঁদের। আলিয়া ভট্ট, সিদ্ধার্থ মলহোত্র। এক জন বিখ্যাত বাবার মেয়ে। আর অপর জন বহিরাগত। এর আগে দু’-একটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এই ছবির হাত ধরে রুপোলি পর্দায় পা রেখেছিলেন পরিচালক ডেভিড ধবনের ছেলে বরুণ ধবনও।
তবে এই ছবির হাত ধরেই বলিউডে জোর আলোচনা শুরু হয় স্বজনপোষণ নিয়ে। স্বজনপোষণ অবশ্য সব সময়ই ছিল। কিন্তু দর্শকের চোখে আঙুল দিয়ে চিনিয়ে দিয়েছিল এই ছবি। তার পর থেকেই শুরু হয় এই নিয়ে যাবতীয় চর্চা। কিন্তু পরিচালক কর্ণ জোহর বরাবরই বলে এসেছেন, তাঁর ছবির সেটে কোনও রকম বৈষম্য নেই। কে ‘স্টার কিড’ আর কে বহিরাগত, তার উপর ভিত্তি করে আলাদা ব্যবহার পায় না কেউই। কিন্তু সেই বৈষম্যই দেখা গেল, দুই তারকার পারিশ্রমিকে।
প্রথম ছবি ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এর জন্য আলিয়া পারিশ্রমিক হিসাবে পেয়েছিলেন ১৫ লক্ষ টাকা। মুম্বইয়ের এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন নায়িকা। সেই একই ছবির জন্য সিদ্ধার্থ কত টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন জানেন? শুনলে চমকে যাবেন।
যেখানে আলিয়া পান ১৫ লক্ষ টাকা, সেখানে সিদ্ধার্থকে দেওয়া হয়েছিল এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক। মুম্বইয়ের এক সংবাদ সংস্থাকে এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ বলেন, “আমি পেয়েছিলাম এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা। যার মধ্যে ৫৫ হাজার টাকা আমি পার্টি করেই খরচ করে ফেলি।”
এখন অবশ্য সাফল্যের মধ্যগগনে সিদ্ধার্থ। ‘শেরশাহ’ ছবিতে তাঁর অভিনয় নিয়ে প্রশংসা এখনও থামেনি। এখন আবার কিয়ারা আডবাণীর সঙ্গে নায়কের প্রেম নিয়েও চর্চা তুঙ্গে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।