ধর্ম ডেস্ক : আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে কোনটি আগে সৃষ্টি করা হয়েছে—বিষয়টি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। মূল কথা হলো, মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম অবিস্তৃত ও অপূর্ণাঙ্গ অবস্থায় পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এরপর আকাশ সৃষ্টি করেন। পরে তিনি পৃথিবীর সম্প্রসারণ ও পূর্ণাঙ্গ কাঠামো সৃষ্টি করেন।
জমিন বা পৃথিবী আকাশের আগে সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছু। অতঃপর তিনি মনঃসংযোগ করেন আকাশের দিকে। অতঃপর তাকে সপ্ত আকাশে বিন্যস্ত করেন। আর তিনি সব বিষয়ে জ্ঞাত।
’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৯)
তা ছাড়া যুক্তিও এই কথা বলে যে আগে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে, এরপর আকাশ সৃষ্টি করা হয়েছে। কেননা জমিন হলো ভিত্তি। আর সবার আগে কোনো কিছুর ভিত্তি স্থাপন করা হয়, তারপর ছাদ নির্মাণ করা হয়। আর আকাশ হলো পৃথিবীর ছাদতুল্য।
তাই আগে পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত।
তবে পবিত্র কোরআনের সুরা নাজিয়াতের একটি আয়াত থেকে এর বিপরীত বক্তব্য কারো কাছে অনুমিত হতে পারে। সেখানে এসেছে, ‘তোমাদের সৃষ্টি বেশি কঠিন, নাকি আকাশের সৃষ্টি, যা তিনি নির্মাণ করেছেন? তিনি এর ছাদ সুউচ্চ করেছেন। অতঃপর তাকে বিন্যস্ত করেছেন।…পৃথিবীকে এর পর তিনি বিস্তৃত করেছেন।
’ (সুরা : নাজিয়াত, আয়াত : ২৭-৩০)
আসলে এই আয়াতের সঙ্গে আগের আয়াতের প্রকৃত বিরোধ নেই। কেননা আল্লাহ তাআলা প্রথমে পৃথিবী অবিস্তৃত আকারে সৃষ্টি করেন। অতঃপর আসমান সৃষ্টি করেন। এরপর পৃথিবীকে প্রসারিত করে তাতে পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, গাছ-পালা ইত্যাদি স্থাপন করেন।’ (তাফসিরে কুরতুবি)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।