বিনোদন ডেস্ক : বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, সমাদর ও কৃতজ্ঞতা বোধ না থাকলে, সেই ব্যক্তি কখনও সাফল্যের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারেন না। শাহরুখ আজ এমনি-এমনি এই জায়গায় এসে পৌঁছননি। তাঁর কেরিয়ারের শুরুর একটি ঘটনার কথা জানলে বুঝবেন।
১৯৯২ সালে আব্বাস-মস্তান পরিচালিত ‘বাজিগর’ ছবিতে অভিনয়ে অভিষেক হয় শাহরুখ খানের। বলিউডের আকাশে জন্ম নেয় এক নতুন নক্ষত্র। প্রথম ছবিতেই ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ বাহবা পেয়েছিলেন আজকের কিং খান। এমন এক ভিলেন, যিনি নাকি ছবির হিরোও।
‘বাজিগর’ ছবিতে অভিনয় করে সেই বছরই সেরা অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পেয়েছিলেন শাহরুখ। সেদিন অ্যাওয়ার্ড বিতরণী অনুষ্ঠানে সকলেই উপস্থিত ছিলেন। শিল্পা শেট্টি, কাজল, রাখি, দালিপ তাহিল, সিদ্ধার্থ রায়, জনি লিভার। এরাই ছিলেন ‘বাজিগর’-এর প্রধান কাস্ট। সেবার ৮-৯টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড একাই পেয়েছিল ‘বাজিগর’। শিল্পা পেয়েছিলেন সেরা নবাগতার অ্যাওয়ার্ড। অনু মালিক পেয়েছিলেন সেরা সঙ্গীতের অ্যাওয়ার্ড।
একটি সাক্ষাৎকারে আব্বাস-মস্তান বলেছিলেন, “অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরে আমরা ঘুমতে চলে যাই। ভোর ৪টে-০৪.৩০টে নাগাদ একজন বাড়ির দরজার সামনে এসে দাঁড়ান।”
বলে চলেন আব্বাস, “রমজ়ানের মাস ছিল সেটা। কে আছে জানতে আমার স্ত্রীই দরজা খুলতে যান। শাহরুখ এসেছিলেন দেখা করতে। আমার স্ত্রী আমাকে এসে জাগিয়ে দেন।”
তিনি বলেন, “একা শাহরুখ ছিলেন না সেদিন। অনু মালিক, রতন জৈন ও অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। আমাকে এসেই জড়িয়ে ধরেন শাহরুখ। আমি পার্টিতে যাইনি বলে তিনি সোজা আমার বাড়িতে চলে এসেছিলেন। আমার আশীর্বাদ নিয়ে বলেছিলেন, তিনি সেই মুহূর্ত কোনওদিনও ভুলবেন না। বলেছিলেন, আমি আপনার সঙ্গে দেখা করেই গৌরীর কাছে যাব।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।