জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মোট ৪৯টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়সম্বলিত এই প্রকল্পের লক্ষ্য দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুকের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উত্তম মৎস্যচাষ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলা হবে।
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং অপ্রচলিত মৎস্যপণ্য শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, খাঁচায় মাছ চাষ, ধানক্ষেতে মাছ চাষ ও স্থানভেদে লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পে কয়েক ক্যাটাগরিতে প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৯২টি দেশীয় মাছ চাষ, ৩১৪টি পেনে মাছ চাষ, ১০০ ইউনিটে খাঁচায় মাছ চাষ, ৪৯টি ধানক্ষেতে মাছচাষ, ২০টি শামুকের চাষ, ১০০টি ঝিনুকের চাষ এবং ২০০টি মুক্তা চাষ প্রদর্শনী।
মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৬ হাজার গ্রুপ গঠন করা হচ্ছে। এর ফলে ৩০ হাজার মৎস্যজীবী বা জেলে সুফল ভোগ করবেন। মাছ চাষের খাঁচা ও পেন, রিক্সা, ভ্যান, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী, ক্ষুদ্র ব্যবসা, দোকান এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। মৎস্যজীবীদের জীবন ধারণে সহায়তার লক্ষ্যে বৈধ জাল বিনিময় কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৬শত জাল বিতরণ করা হবে। দেওয়া হবে ১০০টি ইনসুলেটেড ক্যারেট বক্সসহ ও ভ্যান।
ইতোমধ্যেই ১৪৯ জন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বেকার যুবককে মাঠসহায়ক কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার সব উপজেলা, ফরিদপুরের ২টি, মাদারীপুরের ৪টি; বরিশাল বিভাগের বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনার সব উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের বাগেরহাটের ২টি ও নড়াইলের সব উপজেলা এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আশিকুর রহমান জানান, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প অঞ্চলের মাছ চাষে এবং মৎস্যজীবীদের দৈনন্দিন জীবনে এক অকল্পনীয় পরিবর্তন সূচিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।