লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাচ্চাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে মাছের তেল বা সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানো পুরনো রীতি। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় উল্টো কথা বলা হলো। বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে মাছের তেল বা এর সাপ্লিমেন্ট কোনো কাজে লাগে না বলেই তুলে ধরা হয় গবেষণায়।
এর আগের বহু গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের মাছের তেলের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিতে কাজ করে।
বাচ্চাদের মস্তিষ্ক এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের মধ্যকার সম্পর্ক বুঝতে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের গবেষকদল। সেখানে ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্টের কোনো উপকারিতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এগুলো খেলে স্কুলপড়ুয়াদের পড়া-লেখা কিংবা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বাড়তি উপকার মেলে না। আবার অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) এর মতো সমস্যা মোকাবেলাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে না।
দলের প্রধান থিস স্পার্কেলসেন বলেন, মাছের তেল বা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড দেহের বিভিন্ন কাজে দারুণ উপকারী। কিন্তু শিশুদের পড়ালেখা বা মস্তিষ্কের উপকারে এর ভূমিকা সম্পর্কে আগে স্পষ্ট কোনো ধারণা মেলেনি।
প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণায় আরো বলা হয়, ৭-৯ বছর বয়সী ৩৭৬ জন বাচ্চার ওপর গবেষণা পরিচালিত হয়। এদের সবার ফল বেশ খারাপ। তাদের ওপর ১৬ সপ্তাহের পরীক্ষা চালানো হয়। তাদের খাওয়ানো হয় ফ্যাটি এসিড সাপ্লিমেন্ট। খাওয়ানোর আগে ও পরে তাদের মস্তিষ্কের অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু পরীক্ষা শেষে তাদের মস্তিষ্কে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
অবশ্য এমনিতেই ফ্যাটি এসিড খুবই উপকারী। মাছ থেকে প্রাপ্তা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ক্যান্সার, অ্যাজমা এবং রিনিটিসের ঝুঁকি প্রতিরোধে বেশ কাজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।