জুমবাংলা ডেস্ক : বিজ্ঞানের ক্রমবর্ধমান উন্নতির পেছনে রয়েছে কৌতূহলী মানুষের নানা প্রশ্ন। কৌতূহলী ও খুঁজে বের করার নেশায় মানুষ আবিষ্কার করেছে নতুন কিছু। আবার পৃথিবীতে এমন অনেক বিষয় বা ঘটনা রয়েছে যার ব্যাখ্যা এখনো দিতে পারেনি বিজ্ঞান। বিষয়গুলোকে অলৌকিক বা অতিপ্রাকৃতিক বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
আর অলৌকিক বিষয়গুলোর প্রতি মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। আমাদের দেশের রাজধানীর পুরান ঢাকায় এমন কিছু জায়গা রয়েছে যা ভৌতিক স্থান হিসেবে পরিচিত। এসব স্থানে গেলে ভূতের দেখা মিলবে কি মিলবে না তা বলা না গেলেও, ভয়ে শরীরের লোম দাঁড়াবে এতটুকু নিশ্চিত করে বলা যায়।
মিষ্টির দোকানে জ্বীন- পুরান ঢাকায় কিছু মিষ্টির দোকানে প্রায় সময় জ্বীনদের দেখা মিলে। শোনা যায় কিছু লোক কয়েকদিন পর পর রাতে এসে ১০-১২ কেজি মিষ্টি কিনে নিয়ে যায়। তারা যেই দোকানে ঢুকে সেই দোকানিকে আলো নিভিয়ে দিতে বলে। অন্ধকারে তারা আসে, অন্ধকারে চলে যায়। লোকগুলো উচ্চতায় অনেক লম্বা আর তাদের চেহারা এখন পর্যন্ত ভালো করে কেউ দেখেনি। পুরান ঢাকার বেশিরভাগ মিষ্টির দোকানের লোকেরাই তাদের কথা জানেন।
শাড়ি পরা বউ- পুরান ঢাকার নাম করা একটি গার্লস স্কুলের সামনে দিয়ে প্রায় রাত ১২টার পর একটা বউকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। যার পরনে থাকে লাল পাড়ের হলুদ শাড়ি। সে কোথা থেকে আসে এবং কোথায় যায় তা কেউ আজ পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি। অনেকেই নাকি বউটাকে দেখেছে। তবে সে কখনো কাউকে ভয় দেখিয়েছে বলে জানা যায়নি।
কেল্লার সুড়ঙ্গ- রহস্যের চাদরে ঘেরা লালবাগ কেল্লা। এর সুড়ঙ্গ নিয়ে তো আলোচনার কমতি নেই। আজ অবধি এই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করে কেউ ফিরে আসেনি। নানা সমালোচনায় দুর্গের সুড়ঙ্গমুখ ব্রিটিশ আমলেই বন্ধ হয়ে গেছে। শোনা যায়, একদল বিদেশি গবেষক রহস্য উদঘাটনের জন্য সুড়ঙ্গের মধ্যে দুটি কুকুর পাঠান। কিন্তু কুকুর দুটি আর ফিরে আসেনি। পরবর্তীতে শিকল বেঁধে আবার দুটি কুকুরকে পাঠানো হয়েছিল। তখন শিকল আসলেও কুকুরগুলো ফেরত আসেনি।
পরী বিবির সাক্ষাৎ- পরী বিবি বাংলার মুঘল সুবাহদার শায়েস্তা খানের কন্যা ও বাদশাহ আওরঙ্গজেবের পুত্র মুহম্মদ আজমের স্ত্রী। লালবাগ কেল্লা দুর্গের ৩টি প্রধান অংশের একটি হলো পরী বিবির মাজার। কিংবদন্তী অনুযায়ী, পূর্ণিমার রাতে লালবাগ কেল্লায় পরী বিবিকে দেখা যায়। নাচতে থাকা, গাইতে থাকা পরী বিবি কখনো কারও ক্ষতি করেছেন বলে লোকমুখে শোনা যায়নি।
ঘোড়ায় চেপে ঘুরে বেড়ানো সৈনিক- লালবাগের আরেকটি রহস্য ঘোড়ায় চড়ে বেড়ানো এক সৈনিককে নিয়ে। নাম না জানা সেই সৈনিক প্রায় রাতে কেল্লার নামাজ কক্ষের আশপাশে কিছুক্ষণ ঘুরে চলে যায়। কথিত আছে, শায়েস্তা খানের আমলে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য সৈনিকরা সবাই কেল্লায় একত্রিত হতেন।
স্থানীয়দের মতে, লোকটিকে দেখা যায় রাত ৩টার আশপাশে। তবে নামাজ কক্ষের চারপাশ খুঁজেও চোর বা অন্য কোনো মানুষের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তাই কে এই লোক, কোথা থেকে আসে, পুরো ব্যাপারটা এখনো রহস্যময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।