লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীত আসি আসি করছে। এখন সময় আলমারি থেকে লেপ-কম্বল আর সোয়েটার বের করে রোদে দেওয়ার। শীত অনেকের পছন্দের ঋতু তবে এই সময়ে বয়স্ক ও শিশুরা ভোগে নানা সমস্যায়। একেবারে ক্ষুদে শিশুদের বেলায় শীতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা, বিশেষ করে শিশুর শীতপোশাকে।
শীতে শিশুদের কেবল গরম কাপড়ে জড়িয়ে দিলেই হয়ে গেল এমন ভাবনা বদলাতে হবে। উপমহাদেশে শীতকালে দিনের বিভিন্ন সময় তাপমাত্রা ওঠানামা করে, তাই শিশুকে পোশাক পরাতে হবে বুঝেশুনে, রাখতে হবে খেয়াল। জেনে নেওয়া যাক শিশুর শীতপোশাকের কয়েকটি সতর্কতা:
কখন এবং কাকে পরাচ্ছেন ভাবুন
বাচ্চারা নিজেদের ঠান্ডা বা গরম লাগার কথা সেভাবে বলতে পারে না। তাই তাদের জন্য কখন কী দরকার সেটা অভিভাবকদেরই বুঝে নিতে হবে। এক্ষেত্রে সদ্যোজাত বাচ্চাদের মা-বাবাদের জন্য কাজটা আরও একটু জটিল। কারণ বাচ্চার কথা বলার মতো ক্ষমতা এখনও হয়নি। তাই মা বাবাকেই বুঝে নিতে হবে বাচ্চাকে কতটা গরম পোশাক পরানো উচিত।
সদা খেয়াল রাখুন সদ্যোজাত শিশুর
শিশু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সদ্যোজাত শিশুর মাথা শক্ত হতে সময় লাগে। এদিকে মাথার ত্বক পাতলা হওয়ায় সহজেই তাদের মাথা দিয়ে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রথমেই শিশুটির কোমল মাথা টুপি বা কাপড়ে ঢেকে দিন। সেই সঙ্গে কাপড়ে বা কাঁথায় তাদের র্যাপ করে রাখুন। এতেই ওম পাবে ছোট্ট সোনা। হাত ও পা ঠান্ডা হচ্ছে কিনা খেয়াল রেখে গ্লাভস ও মোজা পরাতে ভুলবেন না। এছাড়াও সম্ভব হলে তাপমাত্রার তারতম্য এড়াতে এই সময় সন্তানকে রাখা যেতে পারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে।
শীতপোশাক পরান স্তরে স্তরে লেয়ার করে
চিকিৎসকদের পরামর্শ, এতদম ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে একটা বেশ মোটা সোয়েটার বা গরম জামা পরানোর বদলে বাচ্চাদের কয়েকটি জামা পরালে শরীর বেশি গরম থাকে। তাপমাত্রা ওঠানামা অনুযায়ী কাপড় কম-বেশি করা যায়। যেমন এরকম হালকা শীতে কোলের শিশু থেকে শুরু করে নার্সারিতে পড়া বাচ্চার ক্ষেত্রেও সোয়েটারের বদলে দুটি বা তিনটি সুতির জামা একসঙ্গে পরানো হয় তাহলে শরীর থাকবে বেশি গরম। আবার গরম লাগলে একটি-দুটি জামা খুলেও ফেলা যাবে।
শীতের পোশাকে বুক ঘেমে যেন ঠাণ্ডা না বাঁধে
শীত পড়ার আগে শিশুকে সাবধানতাবশত গরম জামা পরাতে হবে ঠিকই, কিন্তু তাতে শিশুর শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। একগাদা কাপড় বা ভারী সোয়েটার পরালে ঠান্ডার বদলে গরম লাগবে শিশুর, এমনিতেই ওদের শরীরে তাপ বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে বুক-পিঠ ঘেমে যায়। ঘাম বসেও ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই সময় বুঝে শিশুর গরম পোশাক বাড়াতে বা কমাতে হবে অভিভাবকদের।
সোয়েটারের অ্যালার্জি থেকে সাবধান
অনেক সময় শীতের পোশাক থেকে শিশুদের অ্যালার্জি হয়। বিশেষত শিশুর স্পর্শকাতর ত্বকে অনেক সময়ই অস্বস্তি বাড়ে। এমনকী সদ্যোজাত শিশুদের গরমের পোশাক থেকে স্কিন অ্যালার্জিও হয়। তাই তো শিশুদের শীতের পোশাক বা সোয়েটার পরানোর আগে অবশ্যই সুতির পোশাক পরিয়ে দেওয়া উচিত। তারপর গরম পোশাক পরান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।