লাইফস্টাইল ডেস্ক : ১. প্রক্রিয়াজাত মাংস : বেকন, হ্যাম বা সসেজের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া আর ধূমপান করা একই কথা। কারণ তামাক, অ্যালকোহল এবং অ্যাসবেসটসের সঙ্গে মেলে এমন ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে এসব মাংসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিদিন ৫০ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত যেকোনো মাংস অন্ত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
২. রেড মিট : ডাব্লিউএইচও রেড মিটকে অন্ত্র, অগ্ন্যাশয় এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য দায়ী করেছে।
বহু বিশেষজ্ঞের মতে, রেড মিটের রং সৃষ্টিতে কার্যকর যৌগ উপাদানটিই ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। একই উপাদান অন্ত্রের আস্তরণে মারাত্মক ক্ষতিসাধনে যথেষ্ট। প্রতি সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের কম পরিমাণ রেড মিট খাওয়ার মাধ্যমে মানুষ ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে পারে।
৩. অ্যান্টিবায়োটিকপূর্ণ মাংস : একবার ব্রিটেনের খামারজাত শূকরের মাংসে মারাত্মক ক্ষতিকর ‘এমআরএসএ’ মেলে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ভোক্তাশ্রেণি। এটা এমন এক জাতের ব্যাকটেরিয়া, যা অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে বাসা বাঁধে। খামারে এসব প্রাণীকে সুস্থ রাখতে বা মোটাতাজাকরণে হরহামেশা নিয়ন্ত্রণহীন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। ওয়ার্ল্ড ফার্মিংয়ের প্রধান নির্বাহী ফিলিপ লিম্বেরি জানান, ইংল্যান্ডের এসব অ্যান্টিবায়োটিকপূর্ণ মাংস বছরে পাঁচ হাজার মৃত্যুর কারণ।
৪. হটডগ : অতি প্রিয় এ খাবারের ভক্তরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাবেন। কারণ, বেশ কয়েক ধরনের হটডগে মানব ডিএনএ পাওয়া গেছে। বিশ্বের প্রায় ৭৫টি নামকরা ব্র্যান্ডের ৩৪৫ ধরনের হটডগ পরীক্ষা করে মানব ডিএনএর আলামত পেয়েছে ‘দ্য ক্লিয়ার ফুড ল্যাবস’। এগুলো পেটে পড়লে চুল ও নখ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
৫. পোল্ট্রি : সুপারশপ বা মুরগির দোকানে খামারের কাটা বা জীবন্ত মুরগি রাখা হয়। ইউকের ‘ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি’ ২০১৪-২০১৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে চার হাজার মুরগির নমুনা সংগ্রহ করে। এদের তিন-চতুর্থাংশের মাংসে বিষাক্ত জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওই গবেষণায় বলা হয়, ৭৩ শতাংশ পোল্ট্রি খাবারে বিষাক্ত ক্যাম্পিপাইলোব্যাকটার গোত্রের জীবাণুর উপস্থিতি রয়েছে। এরা খাদ্যে মারাত্মক বিষক্রিয়ায় দায়ী থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।