পুরো বিশ্বটাকেই হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে স্মার্টফোন। তবে স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত হচ্ছে ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন। কেনই বা হবে না? সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, সবচেয়ে আকর্ষণীয় কনফিগারেশন আর ডিজাইনেও আভিজাত্য। ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে যেন স্বপ্নের ফ্লাগশিপ হ্যান্ডসেট যেন স্বপ্নের ডিভাইস। তবে কাজের দিক থেকে সেরা হওয়ায় এসব ফোনের দামও কিন্তু চড়া।
ফ্লাগশিপ বলতে নির্দিষ্ট ফিচারসমৃদ্ধ ফোনকে বোঝায় না। যে কোনো কোম্পানির নিজেদের নতুন এবং সবচেয়ে উন্নত সংস্করণ ফোনকে বোঝায়। ফ্লাগশিপ সাধারণত অন্য ফোনগুলো থেকে সবচেয়ে দামি হয়ে থাকে। প্রতিটি কোম্পানিই প্রতি বছর নতুন ফোন অবমুক্ত করে। কোম্পানি ভেদে ফ্লাগশিপের কনফিগারেশন আলাদা আলাদা হতে পারে। তবে ফ্লাগশিপ ফোনে উন্নত প্রসেসর, অধিক র্যাম এবং ভালো ক্যামেরা তো থাকতেই হবে। ফ্লাগশিপ ফোনগুলোতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার, যা আমাদের শুধু কাজ নয়, জীবনকে সহজ করছে।
ফ্লাগশিপ স্মার্টফোনের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আপেল, স্যামসাং, গুগল, হুয়াওয়ের নাম আসবে।, স্যামসাং নোট ১০ বা এস ১০-ই, আপেলের আইফোন ১১ সিরিজ, হুয়াওয়ে পি৩০ প্রো, গুগল পিক্সেল, ওয়ান প্লাস ৭টি প্রো বর্তমান সময়ের শীর্ষ ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন। শাওমি, অপো, ভিভো এবং নকিয়ারও রয়েছে ফ্লাগশিপ হ্যান্ডসেট। এদিক থেকে এগিয়ে আছে স্যামসাং এবং হুয়াওয়ে।
দামী বা ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের ৩টি প্রধান ফিচার
ডিসপ্লে:
যেকোনো ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের প্রধান ফিচার হচ্ছে ফোনটির ডিসপ্লে। হাই এন্ড ডিসপ্লে স্মার্টফোনকে আকর্ষণীয় করে তোলে। হাই রিফ্রেশ রেট,হাই রেজুলেশন এবং সবচেয়ে উন্নত কালার অ্যাকুরেসির জন্য ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে সবচেয়ে উন্নত ডিসপ্লে দেওয়া হয়ে থাকে।।
বর্তমানে আমরা অনেক হাই এন্ড স্মার্টফোন দেখতে পাই যা DCI-P3 কাললার গেমট সাপোর্ট করে। একই সাথে একটি LTPO স্ক্রিন অনেক হাই এন্ড ফোনে দেখা যায় যাতে ভেরিয়েবল রিফ্রেশ রেট যুক্ত থাকে।
ক্যামেরা:
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের সবচেয়ে ব্যবহৃত ফিচার হচ্ছে ক্যামেরা। মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন ক্যামেরা সাপোর্ট নিয়ে বাজারে নতুন নতুন স্মার্টফোন নিয়ে আসতেছে।
স্মার্টফোনে ক্যামেরাকে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী করার জন্য কোম্পানিগুলো ANC সাপোর্টেড স্মার্টফোন নিয়ে আসতেছে।
ক্যামেরার উন্নত ফিচারগুলো বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে যেমন আলট্রা হাই রেজুলেশন, আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা এবং পেরিস্কোপ টেলি ফটো লেন্স।
বর্তমানে অধিকাংশ ফ্লাগশিপ স্মার্টফোনে মাল্টি ক্যামেরা কোলাবোরেশন দেখা যায় যাতে ফটোগ্রাফিকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে আরো উন্নত করা যায়।
গেমিং পাওয়ার:
মোবাইল গেম এখন খুবই জনপ্রিয় এক ফিচার। তরুণ প্রজন্মের কাছে স্মার্টফোন মানেই মোবাইল গেম।
কোন স্মার্টফোনের গেমিং ক্যাপাসিটি কতটুকু তার উপর ডিপেন্ড করে স্মার্টফোনের কম্পিউটিং পাওয়ারের উপর যেমন প্রসেসর, র্যা্ গ্রাফিক্স ইত্যাদি। যে কারণে যে মোবাইলের প্রসেসর, র্যাম এবং অন্যান্য গেমিং ফিচারগুলো উন্নত থাকে সে স্মার্টফোনের ততো শক্তিশালী এবং ততটা ফ্ল্যাগশিপ হিসাবে গণ্য করা হয়।
ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন নির্মাতা
ব্র্যান্ড ফোনগুলোর মধ্যে অ্যাপেলের আইফোন ১১, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস১০ সিরিজ এবং গ্যালাক্সি নোট ১০ সিরিজ, হুয়াওয়ের পি৩০ সিরিজ থেকে নোভা এবং ওয়াই সিরিজ, শাওমির রেডমি, অপোর রেনো এবং নোকিয়ার ৭.২ সিরিজকে ফ্লাগশিপ বলছে সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। নির্মাতারা বলছেন, র্যাম, প্রসেসর, স্টোরেজ তো আছেই পাশাপাশি ফ্লাগশিপে এবার বেশি নজর দেওয়া হয়েছে ক্যামেরার সক্ষমতার ওপর। কারণ এসব ফিচার যত বেশি থাকবে ফোন তত ভালো চলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।