আগে বিদ্যুৎ না থাকলে বা অন্ধকারে একটু আলোর সন্ধানে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করা হতো সবথেকে বেশি। যদিও এখন বিদ্যুৎ এর জন্য নয় বরং ক্যামেরার জন্য ফ্ল্যাশলাইট বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে ফ্ল্যাশলাইট সম্পর্কিত অ্যাপ যত কম ব্যবহার করা যায় ততই ভালো।
স্মার্টফোনে ক্যামেরার জন্য আলাদা ফ্ল্যাশলাইট সবসময় ছিলো না। ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত অ্যাপল তাদের ডিভাইসে ফ্ল্যাশলাইট যোগ করেনি। আইফোন ৪ বের হওয়ার পর সেখানে বিল্ট-ইন ফ্ল্যাশ দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে ফ্ল্যাশলাইট এর ব্যবহার অনেক বেড়েছে।
মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। মোবাইলের পুরো ডিসপ্লে সাদা উজ্জ্বল রঙের আলো দিবে যা অন্ধকারে আপনাকে পথ দেখাতে সাহায্য করবে। এটা এক ধরনের ফ্ল্যাশলাইট। ক্যামেরার পেছনে যে লাইট থাকে যা অধিকাংশ সময়ে আপনি ছবি তোলার সময় ব্যবহার করেন সেটি অন্য ধরনের ফ্ল্যাশলাইট। যদিও এই দুই ধরনের লাইটের ফাংশন একই। ২ ধরনের লাইট অবশ্যই অন্ধকারে আলো দেয় পাশাপাশি ছবি স্পষ্ট করতে সহায়তা করে।
সহজভাবে চিন্তা করলে ফ্ল্যাশলাইট এর মূল ফাংশন হচ্ছে আলো প্রদান করবে। তবে এর আরও ফিচার থাকতে পারে। যেমন সবসময় সাদা রঙের আলো হবে বিষয়টি এমন নয়। অন্য রঙের আলো প্রদান করতে পারে। সব ফ্ল্যাশলাইট অ্যাপ একই ধরনের কাজ করে।
ফ্ল্যাশলাইট অ্যাপ এমন বিষয়ে অনুমতি চায় যেটা এটির দরকার নেই। ব্র্যাকগ্রাউন্ডে এসব অ্যাপ এর কার্যাবলি সন্দেহ করার মতো। ভিডিও ডাউনলোড করা, অডিও বাজানো, ছবি আপলোড করা সব ফ্ল্যাশলাইট এর কার্যক্রম এর মধ্যে না পড়লেও তার অনুমতি নিয়ে নেয়। এমনকি কন্টাক্ট লিস্ট এর নাম্বারও দেখার অনুমতি চায় এসব অ্যাপ।
২০২০ সালে এক গবেষণায় এসব চিত্র উঠে আসে যা খুবই সন্দেহজনক। তবে মানুষ অনেক বেশি এসব অ্যাপ ডাউনলোড করছে। ধারণা করা হচ্ছে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য অবৈধ উপায়ে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে ফ্ল্যাশলাইট সম্পর্কিত অ্যাপ। তবে ভালো খবর হচ্ছে অ্যানড্রয়েড ও আইফোন ডিভাইসে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কাজেই প্রয়োজনের বাহিরে এসব অ্যাপ পরিত্যাগ করাই উত্তম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।