জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবাসে কষ্টার্জিত আয় দিয়ে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া এলাকার সাফওয়ান টাওয়ারে ফ্ল্যাট কেনেন দেলোয়ার হোসেন নাদিম। ১০তলা ফ্ল্যাটের মালিকানা তিনিসহ বুঝে নেন ৩০ পরিবার। নকশা অনুযায়ী ফ্ল্যাট বিক্রেতা সামছুল আলম মেম্বার ফ্ল্যাটের উন্নয়ন কাজ অসম্পূর্ণ রেখে সটকে পড়েন, এতে বিপাকে পড়েন ফ্ল্যাট মালিকরা।
বাধ্য হয়ে ফ্ল্যাট মালিকরা একত্রে মিলে নকশা অনুযায়ী সীমানা ও নিরাপত্তা প্রাচীরসহ বেশকিছু উন্নয়ন কাজ করেন । সবকিছু ঠিকমতো চললেও ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের অনুপস্থিতিতে আবদুর রহমান আরজু ড্রাইভার মূল ফটক ভেঙ্গে চলাচলের রাস্তায় গড়ে তুলেছে দোকানঘর। এতে করে ফ্ল্যাটটিতে এখন যাতায়াত করতে হচ্ছে মই দিয়ে, এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৩০ পরিবার।
ফ্ল্যাটের কয়েকজন মালিক ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে আরজুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে আরজু ড্রাইভারের অনুসারীরা নাদিমকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এঘটনায় নাদিম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় তিনজনকে আসামি ও অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। তবে ফ্ল্যাটের মালিক অধিকাংশরাই অন্য জেলার হওয়ায় তাদেরকে কোনোভাবেই পাত্তা দিচ্ছে না স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
শুক্রবার বিকেলে এসব কথা জানান ভুক্তভোগী নাদিমসহ আরো অনেকে। এদিকে আরজুর দাবি, নিচতলার কিছু অংশ তিনি সামছুল আলম মেম্বারের কাছ থেকে কিনে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন, চলাচলের রাস্তা ও মূল ফটক ভাঙ্গার মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। নাদিম বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানতপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট দ্বীন ইসলামের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মই হাতে ফ্ল্যাটের নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন নাদিম। প্রথমে দেখে মনে হলো আম পাড়তে কিংবা কোনো গাছে উঠতে তিনি যাচ্ছেন। পরে দেখি তিনি ফ্ল্যাটের ভেতরে প্রবেশের জন্য পিছনে মই দিয়ে কোনোভাবে নিজ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করছেন। এসময় তার সাথে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা ওই ফ্ল্যাটে আর প্রবেশ করতে পারেনি। শুধু তিনিই নন, এভাবে ৩০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে চলাচলের রাস্তা ও মূল ফটক ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করে রাখায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সামছুল আলম মেম্বার ফ্ল্যাট নিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছেন। আরজু ড্রাইভার সামছুর নিকট থেকে ফ্ল্যাটে যাওয়ার পথসহ কিছু অংশ কিনে নেন। পরে গেইট ভেঙে আরজু দোকানঘর নির্মাণ করেন।
শাড়ির আড়ালে কাজল রাঘবনির সঙ্গে উদ্দাম রোমান্সে মাতলেন খেসারি লাল যাদব
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত জানান, মামলা হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।