জুমবাংলা ডেস্ক : রাঙামাটিতে এখনো পানিবন্দী অর্ধ লাখ পরিবার। এখনো অব্যাহত আছে বৃষ্টিপাত। নামছে পাহাড়ি ঢলও। ঢলের পানিতে ভেসে যাচ্ছে বসতঘর, ফসলি জমি, দোকানপাট, হাটবাজার ও নলকূপ।
খাদ্য সংকটের পাশাপাশি তীব্র সংকট বিশুদ্ধ পানির। অন্যদিকে বানের নোংরা পানিতে দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগ। বানভাসি মানুষেরা পড়েছেন বড় বিপাকে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, ত্রাণের চেয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন অতি জরুরি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় রাঙামাটিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। অন্যদিকে সীমান্ত থেকে নামছে পাহাড়ি ঢল। তাই দিন দিন প্লাবিত হচ্ছে রাঙামাটির পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে ভোগান্তি বেড়েছে রাঙামাটির বরকল, জুরাছড়ি, লংগদু, বাঘাইছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলাবাসির। ঘরবাড়ির সাথে এ পানিতে তলিয়ে গেছে কূপ ও নলকূপ। তাই খাবার পানির সংকট তৈরি হয়েছে চরমে।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বন্যাকবলিত মো. জুবায়ের জানান, বিশুদ্ধ পানির এখন চরম সংকট। ত্রাণ থাকলেও খাবারের পানি মিলছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থাও নেই। পাহাড়ি অঞ্চলে সব জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। নেই বিদ্যুৎ। নৌকা ছাড়া চলাচল করা যাচ্ছে না। তাই সংকট আর ভোগান্তি এখন বেঁচে থাকা দায়।
বন্যা কবলিত আনোয়ারা বেগম বলেন, কাপ্তাই হ্রদের ঘোলা পানি খেয়ে এরই মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে তার সন্তান। এছাড়া বিভিন্ন পানিবাহীত রোগ দেখা দিয়েছে।
রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, আমরা যখনই খবর পাচ্ছি তখনি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সহায়তা পাঠিয়ে দিচ্ছি। চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাজ করছে। নতুন করে কোন মৃত্যু খবর পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি না কমলে পানিও কমবে না ধারণা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।