জুমবাংলা ডেস্ক : বন্যায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দেয়। এই সময় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষেত ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড ও জন্ডিস দেখা দিতে পারে।
স্কয়ার হসপিটালের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্স ডা. আহমদ মুরসেল আনাম বলেন, ‘পানিতে থাকা বিভিন্ন জীবাণুর মাধ্যমে পানিবাহিত রোগ ছড়ায়। পানিতে কিছু ভাইরাস থাকে যেমন লোটা ভাইরাস। এ ছাড়া পানিতে কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে যেমন সিজেলা। এই জাতীয় ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হয়। এ ছাড়া পরজীবী বা প্রোটোজোয়া যেমন অ্যামিবা, জিয়ারডিয়া নামক অনেক জীবাণু আছে যেগুলোর প্রভাবে ডায়রিয়া হতে পারে। মূলত পানি দূষণের মাধ্যমে এই রোগগুলো ছড়ায়।
তিনি আরও বলেন, দূষিত পানি যখন মানুষ খাবার কাজে, হাত ধোয়ার কাজে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করে তখন সেই জীবাণূগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়।
সব জীবাণু সমানভাবে রোগ সৃষ্টি করতে পারে না উল্লেখ করে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘কিছু জীবাণু আছে যেগুলো অনেক বেশি পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করতে পারলে রোগ সৃষ্টি করে। আবার অনেক জীবাণু আছে যেগুলো অল্প পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করতে পারলেও রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং পানির মাধ্যমে কোন জীবাণু কি পরিমাণ শরীরে প্রবেশ করছে তার ওপর নির্ভর করে পানিবাহিত রোগ। এ ছাড়া ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে রোগে আক্রান্ত হওয়া না হওয়ার ব্যাপার।’
যেমন— গর্ভবতী মায়ের যদি হেপাটাইটিস ই হয় তখন কিন্তু ওই মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগ দেখা দিলে ডায়রিয়া বা অন্য কোনো লক্ষণ প্রকাশ করার পর এই রোগ নিজে নিজে ভালো হয়ে যায়।
পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়
দূষিত পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দূষিত পানি দিয়ে রান্না করা যাবে না।
দূষিত পানি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ার কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।