জুমবাংলা ডেস্ক : রাস্তার যানজট কমাতে এবং মানুষের যাতায়াতের সুবিধা করার জন্য ফ্লাইওভার, সেতু, ওভার ব্রীজ, আন্ডারপাস ও ওভারপাস ইত্যাদি তৈরি করা হয়। সাধারণত যানবাহন এবং ট্রেন চলাচলের সুবিধার জন্য ওভারব্রীজ এবং ফ্লাইওভার তৈরি করা হয়। একই সাথে পথচলতি যাত্রীরাও নিশ্চিন্তে রাস্তা পারাপার করতে পারে।
এমতাবস্থায় অনেকেই ভেবে থাকেন যে, এই ফ্লাই ওভার বা ওভার ব্রীজ হয়ত একই জিনিস। আসলেই কি তাই? ফ্লাইওভার মূলত শহরাঞ্চলের ট্রাফিক কমাতে রাস্তার উপর তৈরি করা হয়। এদিকে ওভারব্রীজ তৈরি করা হয় রেল স্টেশনে। এই নিবন্ধে আমরা বলব যে, ফ্লাইওভার এবং ওভারব্রিজ কী কী পার্থক্য রয়েছে।
একটি ফ্লাইওভারকে ওভারপাস-ও বলা হয়ে থাকে। এই রাস্তা বিদ্যমান কোন রাস্তার উপর এমনভাবে তৈরি কথা হয় যার উপর মানুষ, যানবাহন বা ট্রেন চলাচল করতে পারে। এতে যাত্রীদের সময় যেমন বাঁচে তেমনই রাস্তার ভিড়-ও কমে। আজকাল বড় শহরগুলিতে এই ফ্লাইওভারের কনসেপ্ট ভিষণ কমন হয়ে উঠেছে।
এদিকে একটি ওভারব্রিজ মূলত একটি সেতু যা দুটি রাস্তাকে জুড়ে দেয়। রেল স্টেশনের দুটি প্লাটফর্মকে জুড়তে সাহায্য করে এই ওভারব্রীজ। এতে যে কোন ট্রেন যেমন নির্বিঘ্নে স্টেশন পার করতে পারে তেমনই যাত্রীরাও নিরাপদে অন্য প্লআটফর্মে পৌঁছে যেতে পারে। অনেক সময় রাস্তার ট্রাফিক এড়ানোর জন্য ওভারব্রীজ তৈরি করা হয়।
ওভারব্রীজ আকারে আয়তনে অনেকটাই ছোট, যেখানে ফ্লাইওভার অনেটা রাস্তাজুড়ে তৈরি করা হয়। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী কাঠামো যা একটি রাস্তার উপর আরেকটি নতুন রাস্তা। এটাই মূলত ফ্লাই ওভার এবং ওভালব্রীজের মধ্যে পার্থক্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।