অ্যাপল তার প্রথম ভাঁজযোগ্য আইফোন মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিভাইসটি এখন ২০২৭ সালে বাজারে আসতে পারে। Mizuho Securities-এর বিশ্লেষণে এই তথ্য উঠে এসেছে। বিলম্বের মূল কারণ হিঞ্জ এবং ফ্লেক্সিবল OLED ডিসপ্লের নকশাগত জটিলতা।
অ্যাপল তার প্রোডাক্টের টেকনিকাল পারফেক্টনের উপর সর্বদা জোর দেয়। এই ভাঁজযোগ্য আইফোনও তার ব্যতিক্রম নয়। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ টেস্টিং স্ট্যান্ডার্ড খুবই কঠিন। এ কারণেই প্রোডাক্ট লঞ্চের তারিখ পিছতে পারে।
ভাঁজযোগ্য আইফোনের সম্ভাব্য ডিজাইন ও উৎপাদন চ্যালেঞ্জ
প্রাথমিকভাবে ২০২৬ সালেই ডিভাইসটি আসার কথা ছিল। কিন্তু প্যানেল উৎপাদনের লক্ষ্য ১৩ মিলিয়ন থেকে কমিয়ে ৯ মিলিয়ন ইউনিট করা হয়েছে। এটি উৎপাদন প্রস্তুতিতে ধীরগতির ইঙ্গিত দেয়। Reuters-এর রিপোর্টেও এই ধরনের বিলম্বের পূর্ববর্তী নজির রয়েছে।
ভাঁজযোগ্য ডিভাইসে হিঞ্জের স্থায়িত্ব একটি বড় ইস্যু। ডিসপ্লেতে ক্রিজ পড়া এবং ওয়াটারপ্রুফিং-এর সীমাবদ্ধতাও চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। অ্যাপল এসব ক্ষেত্রে কোনো আপস করতে চায় না। ব্র্যান্ডের বিশ্বস্ততা রক্ষায় তারা সময় নিচ্ছে।
অ্যাপলের ভাঁজযোগ্য রোডম্যাপ ও বাজার কৌশল
অ্যাপল শুধু আইফোন নয়, ভাঁজযোগ্য MacBook-ও ডেভেলপ করছে। The Elec-এর রিপোর্ট অনুসারে, ১৮.৯ ইঞ্চির একটি ভাঁজযোগ্য MacBook ২০২৮ বা ২০২৯ সালে আসতে পারে। এটি অ্যাপলের দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যানের অংশ।
স্যামসাং এবং হুয়াওয়ে এর মতো প্রতিযোগীরা ইতিমধ্যেই বাজারে শক্ত অবস্থান গড়েছে। Huawei-এর Mate XT TriFold এর মতো ডিভাইস প্রতিযোগিতাকে তীব্র করেছে। অ্যাপলকে এই বাজারে প্রবেশ করতে হলে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার উভয় ক্ষেত্রেই অনন্য কিছু নিয়ে আসতে হবে।
সফটওয়্যার ইন্টিগ্রেশন ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা
অ্যাপল তার ভাঁজযোগ্য আইফোনের জন্য বিশেষ সফটওয়্যার ফিচার নিয়ে কাজ করছে। একটি বড় ইন্টারনাল স্ক্রিনের পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। iOS-এ ভাঁজযোগ্য-centric আপডেট আসতে পারে। এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে সম্পূর্ণ নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
রিপোর্টগুলো বলছে, ভাঁজযোগ্য আইফোনের ইন্টারনাল ডিসপ্লে হবে ৭.৬ ইঞ্চি। এক্সটার্নাল ডিসপ্লে হবে ৫.৪ ইঞ্চি। এটি পোর্টেবিলিটি এবং ইমার্সিভ এক্সপেরিয়েন্সের মধ্যে নিখুঁত ভারসাম্য তৈরি করবে। ভাঁজযোগ্য আইফোন অ্যাপলের ইনোভেশন লিডারশিপের পরীক্ষা হবে।
জেনে রাখুন-
Q1: ভাঁজযোগ্য আইফোন কেন দেরি করছে?
হিঞ্জ এবং ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লের নকশাগত জটিলতা এবং অ্যাপলের কঠোর টেস্টিং স্ট্যান্ডার্ড বিলম্বের মূল কারণ।
Q2: বর্তমানে বাজারে কোন ভাঁজযোগ্য ফোন আছে?
স্যামসাংয়ের Galaxy Z Fold এবং Z Flip সিরিজ, Huawei-এর Mate XT সহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের ভাঁজযোগ্য ফোন বাজারে রয়েছে।
Q3: অ্যাপল ভাঁজযোগ্য আইফোনে কি নতুন ফিচার দেবে?
বিশেষ সফটওয়্যার অপ্টিমাইজেশন এবং একটি বড় ভাঁজযোগ্য স্ক্রিনের মাধ্যমে নতুন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
Q4: অ্যাপল কি ভাঁজযোগ্য MacBook বানাচ্ছে?
হ্যাঁ, রিপোর্ট অনুযায়ী ১৮.৯ ইঞ্চির একটি ভাঁজযোগ্য MacBook ২০২৮-২০২৯ সময়ের মধ্যে আসতে পারে।
Q5: ভাঁজযোগ্য ফোনের সাধারণ সমস্যা কী?
হিঞ্জের স্থায়িত্ব, ডিসপ্লেতে ক্রিজ পড়া এবং উচ্চমূল্য ভাঁজযোগ্য ফোনের সাধারণ কিছু চ্যালেঞ্জ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।