জুমবাংলা ডেস্ক : সারাদেশে চলছে আমন ধান কাটা ও মাড়াই। এবার উৎপাদন খরচ বেশি হলেও ফলন ভালো হয়েছে। ফলে চাহিদা মিটিয়েও বিপুল পরিমাণ ধান উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। তবে বাজারদর নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি চাষিদের।
সোনালী ধানের বিস্তৃর্ণ মাঠ। কৃষকরা ব্যস্ত ধান ঘরে তোলার কাজে। তবে এবারে উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে জানিয়ে কৃষকরা বলছেন, ন্যায্যমূল্য চান তারা। কৃষকরা জানান, ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বাজার দরও ভালো আছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ বলেন, “উৎপাদন আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জন হবে।”
দিনাজপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন ধান। আমন আবাদে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। এখানকার স্থানীয় কৃষকরা জানান, ধান ভালো হয়েছে, বর্তমান বাজারে যে দামটা আছে পরবর্তীতে যদি এই দামটা থাকে তাহলে আমরা কৃষকরা লাভবান হবো।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বেশির ভাগ ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, “সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল ফলে কৃষক সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তার কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে।”
এদিকে, রোপা-আমন ভালো ফলনের পাশাপাশি ন্যায্যদাম পেয়ে সন্তুষ্ট সিরাজগঞ্জের চাষীরা। আর এবারে ধান উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশাবাদ কৃষি কর্মকর্তার। কৃষক বলেন, “প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাওয়া যাবে। তবে খরচ হয়েছে প্রতিবিঘায় ৭-৮ হাজার টাকা।”
এছাড়া রংপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে ২৬ ভাগ ধান কাটা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল অন্যান্য জেলায় পাঠানো সম্ভব বলছে কৃষি বিভাগ। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, “টোটাল ধান যখন কর্তন করা হবে তখন বাম্পার ফলন পাবো। কৃষক ভাইরাও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত পাবেন।” ফসলের ন্যায্যদাম নিশ্চিতে সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি কৃষকদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।