আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন ক্রাইমিয়া আক্রমণ করেছে অভিযোগ তোলার পর এবার রাশিয়া খাদ্যশস্যের চুক্তি বাতিল করেছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ইউক্রেনের হামলায় কার্চ সেতু ধ্বংসের জন্যই তারা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। যদিও এ কথা সরাসরি উল্লেখ করেনি মস্কো।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গেছিল কৃষ্ণসাগর। ফলে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে বিপুল খাদ্যশস্য আফ্রিকা ও এশিয়ায় যেতে পারছিল না। কার্যত খাদ্যসংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে খাদ্যশস্যের চুক্তি সই হয়েছিল। এর ফলে কৃষ্ণসাগর দিয়ে জাহাজে করে আফ্রিকা ও এশিয়ায় খাদ্যশস্য পাঠাতে পারবে ইউক্রেন-রাশিয়া। এতদিন পর সেই চুক্তি বাতিল হয়ে গেল। চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল রাশিয়া।
ইউক্রেন ও ক্রাইমিয়ার মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সেতু কার্চ ব্রিজ। সোমবার (১৭ জুলাই) সেই সেতুতে ইউক্রেন আক্রমণ চালিয়েছে বলে রাশিয়ার অভিযোগ। সেতুটি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। ইউক্রেন অবশ্য আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আক্রমণের কথা স্বীকার করেনি।
ওই সেতুটি ধ্বংস হওয়ায় ইউক্রেন থেকে ক্রাইমিয়া যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ গেছে। রাশিয়ার বহু পর্যটক ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন। তাদের বিকল্প রাস্তা দিয়ে আসতে বলেছে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ। বিকল্প যে রাস্তার কথা বলা হয়েছে, তা কার্যত রণক্ষেত্রের মাঝে।
ক্রাইমিয়া ব্রিজ ধ্বংস হওয়ার পরেই খাদ্যশস্যের চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। তবে দুটি কারণকে মেলায়নি রাশিয়া। অর্থাৎ, ব্রিজ ধ্বংসের জন্যই তারা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, এমন কথা সরকারিভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ কারণেই তারা সরে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানো একটা চয়েস। কিন্তু এর ফলে যারা খাদ্যকষ্টে ভুগবেন, ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করবেন, তাদের হাতে আর কোনো চয়েস নেই।’
রাশিয়ার এই অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। এখনও তার কোনো জবাব আসেনি।
গুতেরেসের বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তার সঙ্গে গুতেরেসের ফোনে কথা হয়েছে। বিকল্প রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।