সাতশ টাকায় কৃষক ধান বিক্রি করবেন; এটা হতে পারে না: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনছে সরকার। প্রতি কেজি ২৭ টাকা মূল্যে ১ মন ধান ১ হাজার ৮০ টাকা দামে কেনা হচ্ছে।

বাসস জানিয়েছে, আজ সোমবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে হাওররক্ষা বাঁধ ও এলএসডি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে রোববার রাতে মন্ত্রী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ বিষয়ে খাদ্য কর্মকর্তা, মিলার, ডিলার ও অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটের কারণে মাত্র সাতশ’ টাকা মূল্যে প্রতি মন ধান বিক্রি করতে হয়।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সাতশ টাকা দরে কৃষক ধান বিক্রি করবেন; এটা হতে পারে না। ধানের ন্যায্য মূল্য দিতেই সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনছে। কেউ যেন সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃষকদের বঞ্চিত না করে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

‘‘কৃষক ঠিক মতো গুদামে ধান দিতে পারলে খুশি থাকবেন। ধান দিতে গিয়ে যদি ধাক্কা খায় তাহলে কৃষক কষ্ট পাবে। কৃষক যদি অসম্মানিত হন তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেব না।’’

তিনি কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘ধান দেয়ার সময় শুকিয়ে ১৪ শতাংশ আর্দ্রতা নিশ্চিত করবেন। তালিকায় থাকা কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্য কর্মকর্তারা ধান সংগ্রহ করবেন। যদি কেউ ধান নিতে অপারগতা জানায়, আমাকে জানাবেন।’

মন্ত্রী চাল মিল মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাজারে চালের ঘাটতি তৈরি করবেন না। চাল আমাদের কাছে অনেক মজুত আছে। সরকার কোনোভাবেই দাম বাড়তে দেবে না।’

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, সুনামগঞ্জে ৪০ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার একটি সাইলো তৈরী করা হবে। সুনামগঞ্জে ধান শুকানোর জায়গা নেই। ৮-১০টি ধান শুকানোর পেডি সাইলো নির্মাণ করে দেয়া হবে যাতে কৃষকরা ধান নিয়ে এসে এক ঘণ্টার মধ্যে ১৪ শতাংশ আর্দ্রতা নিশ্চিত করতে পারেন।’

তিন বছর ধরে আয় করছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: বিএসসিএল