জুমবাংলা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ট্রেন্ড ফুডাপ্পি। এই নিয়ে নানা প্রশ্নও করছেন নেটিজেনরা। অনেকেই জানেন না আসলে ফুডাপ্পি বিষয়টি কী?
ফুডাপ্পির আসল নাম ফাবিহা হাসান মণিষা। তাকে নিয়ে আরজে কিবরিয়ার উপস্থাপনায় একমাসের ব্যাবধানে পরপর দুইটা শো হয়। প্রথম শো এর শিরোনাম ছিল ‘আমি কত বোকা ছিলাম।’
মণিষার ওই ভিডিওর পুরো বক্তব্যের সারমর্ম ছিল, তিনি অনেক বোকা ছিলেন। তার প্রাক্তন স্বামী রুহুল আমিন এতটাই চালাক, যে তাকে শুধু ঠকায়, উচ্চকাবিন দেয় না, ২০১৩ সালে মাত্র একলাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করে। তাকে প্রচুর নির্যাতন করে, যৌতুক চায়, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে নাকি একদিন লাথি মারে, অনেক মানুষ দেখে কিন্তু কিছুই বলে না। স্বামীর যৌতুকের দাবি পূরণ করতে গিয়ে নিজের একটা কিডনি পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে চান। পরে কি যেন ভেবে আর কিডনি বিক্রি করে না। এরপরে ডিভোর্স হয়।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন মণিষার প্রাক্তন স্বামী। তিনিও আরজে কিবরিয়ার লাইভে আসতে চান। এবং তাকে আনা হয়। রুহুল আমিনের ভাষ্য, আমার প্রাক্তন স্ত্রী মণিষা আমার নামে মিথ্যাচার করছে, যা আমার এবং আমার ৭ বছরের সন্তানের উপরে প্রভাব ফেলছে।
এরপরে ফুডাপ্পি মণিষা এবং রুহুল আমিনকে একই শোতে আনা হলো। তখন দেখা গেল আগের শো-তে ফুডাপ্পি মণিষা যেসব গল্প বলেছিল তার অধিকাংশই বানানো যার প্রমাণ রুহুল আমিন দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। রুহুল আমিন যখন দ্বিতীয় শো-তে মামলা এবং জিডির সবগুলো কপি দেখায়, যেখানে প্রত্যেকটাতেই ফুডাপ্পি মণিষার সাইন আছে, তখন মণিষা এটা স্বীকার করে।
মণিষা প্রথম শো-তে বলেছিল যে রবীন্দ্র সরোবরে নাকি অনেক মানুষের সামনে তার স্বামী তাকে লাথি মেরেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় শো-তে যখন আরজে কিবরিয়া দুজনকেই জিজ্ঞেস করে যে আপনাদের দু’জনের মধ্যে কখনো মারামারি বা হাতাহাতি হয়েছে কিনা, মণিষা বলেছে যে হয় নাই। এ থেকে নেটিজেনরা বলছেন মণিষা মিথ্যা বলছেন।
রুহুল আমিন ও মণিষার এই অভিযোগ-পালটা অভিযোগ নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। এমনকী ফেসবুকে একটি ইভেন্টও খোলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।