লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতে তো বটেই, বর্ষাতেও অনেকে সময়ে বাড়ে বাতের ব্যথা। এজন্য দায়ী কিছু কিছু খাবার। তাহলে দ্রুত নিজের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন কিছু কিছু খাবার। জেনে নিন, কোন কোন খাবার খাওয়া কমালে বাতের ব্যথা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
ডিমের কুসুম: ডিম খুবই পুষ্টিকর। কিন্তু এর কুসুমে আছে অ্যারাকিডনিক অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন, তারা ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। তাহলে উপকার পাবেন। ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
কর্ন অয়েল: ভুট্টার তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো নয়। বেশি ওমেগা-৬ অ্যাসিড গ্রহণে শরীরে প্রদাহ বাড়ে। তবে এটাও ঠিক, খাদ্যতালিকা থেকে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বাদ দেওয়া যাবে না। এ কারণে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
দুগ্ধজাতীয় খাবার: যাঁদের বাতের ব্যথা আছে, বিশেষ করে কোমরে যাঁদের ব্যথা হয়, তাঁদের দুগ্ধজাতীয় খাবার গ্রহণের পর প্রদাহ বেড়ে যায়। এর কারণ, দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন অস্থিসন্ধির আশপাশে যে টিস্যু আছে তাতে অস্বস্তি তৈরি করে। অ্যালার্জিতে ভোগা রোগীরা দুগ্ধজাতীয় খাবার খেলে প্রদাহ বেড়ে যায়।
চিনিযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার সব ধরনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। ব্যথার অন্যতম কারণ সাইটোকাইনস। চিনি সাইটোকাইনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্যথা বেড়ে যায়। রোজকার চিনিজাতীয় খাদ্য, যেমন সোডা, কেক, পেস্ট্রি বেশি পরিমাণে খেলে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
রেড মিট: এতে রয়েছে পিউরিন নাইট্রাইট। এটিইনফ্লামেশন আরও বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া থাকে টকসিন গ্লাইকেশন। এটিও ব্যথার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যখন শরীরে প্রদাহ হয় তখন সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন নামে এক ধরনের প্রোটিন লিভারে তৈরি হয়। রেড মিট এই সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনের লেভেলও বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে বাতের ব্যথা বাড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।