লাইফস্টাইল ডেস্ক : সারারাত না খেয়ে থাকার পর সকালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অবশ্যই জরুরি। এ কারণে সকালের খাবারে সবাই গুরুত্ব দেন। সাধারণত সকালে খালি পেটে নানা ধরনের খাবার খাওয়া হয়। খালি পেটে সব খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা খালি পেটে খেলে স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এবার তাহলে হেলথ শটসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খালি পেটে যেসব খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ, তা জেনে নেয়া যাক।
১. ফলের রস বা জুস : ফলের রস খাদ্যের একটি প্রধান উপাদান। কিন্তু খালি পেটে ফলের রস খাওয়া ঠিক নয়। এতে অগ্ন্যাশয়ের ওপর অতিরিক্ত প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা, ফলের মধ্যে ফ্রুক্টোজ আকারে চিনি থাকে। যা লিভারকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা বলছে, ফলের রস করার সময় কিছু স্বাস্থ্যকর ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়। কারণ রস নিষ্কাশনকারীরা ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদান এবং স্কিন থেকে রসকে পৃথক করে। আর রসে ফাইবারের ক্ষতির কারণে রক্তে শর্করা তুলনামূলকভাবে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যাও হতে পারে।
২. সাইট্রাস ফল : পেয়ারা এবং কমলার মতো সাইট্রাস ফল অন্ত্রে অ্যাসিড উৎপাদন বাড়াতে পারে। একই সঙ্গে গ্যাস্ট্রাইটিস এবং গ্যাস্ট্রিক, আলসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ জাতীয় ফলগুলোয় ফাইবার এবং ফ্রুক্টোজের ডোজ খালি পেটে খাওয়া হলে হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে পারে।
৩. কফি : কফি কম-বেশি সবারই পছন্দের পানীয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যদি খালি পেটে কফি পান করেন তাহলে পাচনতন্ত্রে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিঃসরণের পরিমাণ উদ্দীপিত করে। যা থেকে গ্যাস্ট্রাইটিসের কারণ হতে পারে।
৪. দই : খালি পেটে দইয়ের মতো গাঁজানো দুধের পণ্য খেলে এতে বিদ্যমান ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়াকে অকার্যকর করে তোলে। আবার উচ্চ অম্লীয় মাত্রার ফলে পাকস্থলী হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়, যা অ্যাসিডিটির দিকে ধাবিত করে।
৫. সালাদ : সাধারণত সালাদে কাঁচা শাক-সবজি থাকে। যা দুপুরের খাবারে ভালো। কিন্তু খালি পেটে এসব খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন পেট ফাঁপা ও পেট ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা হয়। সালাদের মধ্যে টমেটো অন্যতম। এতে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে, যা খালি পেটে খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক রসের সংস্পর্শে এসে পেট জ্বালা করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।