জুমবাংলা ডেস্ক : শীতের মৌসুমে চর জেগে উঠেছে। সেই জেগে উঠা চরেই চাষাবাদ করে কৃষানী মমতাজ বেগম স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে তা পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছেন। ইতোমধ্যে সবজি বিক্রি করে তিনি ৪০ হাজার টাকা আয় করেছেন।
জানা যায়, কৃষানী মমতাজ বেগম চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সুখছড়ি গ্রামের বাসিন্দা। শীতের কারণে জেগে উঠে এই উপজেলায় অবস্থিত টঙ্কাবতী নদীর চর। সেই চরে তিনি প্রায় ৬০ শতক জমিতে বেগুন, আলু, মুলা, টমেটো, মরিচ ও ঢ্যাঁড়সের চাষ করেছেন। পাইকারি বিক্রেতারা তার জমি থেকেই সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষানী মমতাজ বেগম বলেন, আমি চরে প্রায় ৬০ শতক জমিতে বেগুন, আলু, মুলা, টমেটো, মরিচ ও ঢ্যাঁড়সের চাষ করেছি। সবজি চাষে আমার৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে সবজি বিক্রি করা শুরু করেছি।
তিনি আরো বলেন, পাইকাররা জমি থেকেই সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সবজি বিক্রি করে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পেরেছি। জমিতে আরো যা সবজি আছে আশা করছি তা বিক্রি করে আরো ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবো।
কৃষি বিভাগের মতে, বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলে ঢলে টঙ্কাবতীর দুই পাশের জমি ও চরের মাটিতে পলি জমে। তাই শীতের সময় কম সার দিয়েই চাষিরা ভালো ফলন পেয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, চলতি বছর লোহাগাড়ায় ১ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে আরো ২ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুপনা চক্রবর্তী বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই চরের চাষিরা সবজি চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আমরা চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।