জুমবাংলা ডেস্ক : মেগা প্রকল্পের আসল পরিশোধের সময় শুরু হওয়া এবং বিশ্বব্যাপী উচ্চ সুদ হারের প্রভাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ বাবদ পরিশোধ ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের মোট ঋণ পরিশোধ করেছে ৩ দশমিক ০৬৮ বিলিয়ন ডলার-যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। গত অর্থবছরের একই সময়ে সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশ পরিশোধ করেছিল ২ দশমিক ৪৬৭ বিলিয়ন ডলার-যা পুরো অর্থবছর শেষে ২ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
ইআরডি তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত সরকার আসল পরিশোধ করেছে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার-যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশকে বাজারভিত্তিক ঋণের জন্য উচ্চ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট (এসওএফআর) বেড়েছে। বর্তমানে এসওএফআর ৫ শতাংশের বেশি- যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির আগে ১ শতাংশের কম ছিল।
আবার বাংলাদেশের বাজারভিত্তিক ঋণও ক্রমাগত বাড়ছে। এ কারণে বাংলাদেশকে এখন সুদ বাবদ বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে সুদ পরিশোধ বেড়েছে ৪২ শতাংশ। ইআরডি’র তথ্য অনুযায়ী, সরকার চলতি অর্থবছরে সুদ বাবদ পরিশোধ করেছে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার-যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৮২ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
ইআরডি’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত সরকার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ৭ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলারের-যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক ৯৭৪ বিলিয়ন ডলার।
উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে জুলাই থেকে মে সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই সংস্থাটির সঙ্গে সরকার ১১ মাসে ২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে। এরপর জাপানের কাছে থেকে ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে সরকার।
অন্যদিকে অর্থবছরের জুলাই থেকে মে সময়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো ৭ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করেছে-যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। ১১ মাসে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে জাপান। এই দেশ থেকে ছাড় হয়েছে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এডিবি ১ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
ইআরডি’র কর্মকর্তারা জানান, মূলত গত অর্থবছর থেকে বৈদেশিক ঋণের আসল পরিশোধের চাপ বেড়েছে। চলতি অর্থবছর এবং আগামী অর্থবছরে আসল পরিশোধের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।