জুমবাংলা ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু, খ্রীষ্ট ধর্ম যাজক, কবি-সাহিত্যিক-অনুবাদক ও শিক্ষানুরাগী ফাদার মারিনো রিগনের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
মোংলার শেলাবুনিয়াস্থ তার সমাধিতে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। মারিনো রিগন ১৯৫২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইতালির ভেনেতা প্রদেশে ভিসেঞ্জা জেলার ভিল্লার ভেরলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মারিনো রিগনকে স্মরণ করে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে মোংলা সরকারি কলেজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ফাদার মারিনো রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সেবা সংস্থা ও সেন্ট পলস ধর্মপল্লী।
এসময় ফাদার রিগন সমাধি চত্তরে রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সেন্ট পলস ধর্মপল্লীর পালক পুরোহিত ফাদার দানিয়েল মন্ডল, মোংলা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কুবের চন্দ্র মন্ডল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ, উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, প্রভাষক সাহারা বেগম, সেবা সংস্থার নির্বাহি পরিচালক মিনা হালদার, সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার এন্ড্র জয়ন্ত কস্তা, সাংস্কৃতিক সংগঠক গীতিকার মোল্লা আল মামুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “ইতালি নাগরিক ফাদার রিগন বাংলার সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যের প্রেমে মৃত্যুর আগে ৫০ বছর এবং মৃত্যুর পরেও তার অন্তিম ইচ্ছায় বাংলার মাটিতেই শায়িত হয়েছেন। তিনি নিজেই বলতেন তার ‘মস্তকে রবীন্দ্রনাথ আর অন্তরে আছে লালন’। তিনি যাজকীয় দায়িত্বের বাইরে এসে শিল্প-সাহিত্য ও শিক্ষা-সংস্কৃতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন।”
১৯৫৩ সালের জানুযারিতে ধর্ম প্রচারের কাজে মারিনো রিগন বাংলাদেশে আসেন। টানা ৬৩ বছর ধরে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার শেহালাবুনিয়া গ্রাম থেকে তিনি এ এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে নিজ উদ্যোগে ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ৯২ বছর বয়সে বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে ইতালিতে মারা যান তিনি। এর ঠিক এক বছর পর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় ইতালি থেকে রিগনের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়।
পরে নিজের স্থাপিত মোংলার সাধুপালের ক্যাথলিক মিশনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।