ঢাকার বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ফলের দাম। সাধারণত বছরের এমন সময়ে দেশি ফলের সরবরাহ কম থাকে, তাই বিদেশি ফলের দাম বাড়ে।
বিক্রেতাদের দাবি, আগের বছরগুলোতে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়লেও এবার তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) দাবি, আমদানিকারকরা কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।
আম–কাঁঠালের মৌসুম শেষের দিকে। বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশি ফলের সরবরাহ। ফলে বাড়ছে বিদেশি ফলের চাহিদা। আর নানা অজুহাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে পণ্যের দাম।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব রকমের ফলের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি লাল আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত, মাল্টার কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, আর লাল আঙুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়।
ক্রেতাদের অভিযোগ, রাজধানীতে মানুষের জ্বরের প্রকোপ বাড়ার সুযোগে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে যারা আসে তারা তো মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের। এসব ফল কিনে রোগীকে খাওয়াতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলে বলবে, মাল্টা ৫০০ টাকা, আগে কিনেছি ১৬০ টাকায়। কত বেড়েছে? ৩ গুণেরও বেশি।’
একজন ফল বিক্রেতা বলেন, ‘এখন দ্বিগুণ চালান লাগে। জিনিসের দাম বেশি। এই যে মাল্টার দাম ৫০০ টাকা কেজি কেনা—এখানে বাঁচাবো কত? দাম যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে ক্রেতাও কমেছে।’
এদিকে বাড়তি কর ব্যবস্থাপনাসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে ফলের দাম বাড়িয়েছে বলে দাবি করছে ক্যাব। সংগঠনটির মতে, বাড়তি পরিবহন খরচের প্রভাবও এসব পণ্যে পড়ছে।
ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘আমদানি করা ফলগুলোর দাম হঠাৎ করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে গেছে। এখানে আসলে যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ নেই। এটা হলো—আমাদের ব্যবসায়ীরা যখন যা ইচ্ছা, তখন যেভাবে দাম বাড়াতে চায় তখন সে দামটা বেড়ে যায়। আবার সরকারের যে নজরদারি বা তদারকি থাকার কথা, সেগুলো হচ্ছে না।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমদানিকারকরা।
ফল আমদানিকারক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘যে ঘাটতিটা তৈরি হয়েছে যেমন আপেলের সরবরাহ কম, আসলে ফলের বাজারে যখন সংকট থাকে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দাম বেড়ে যায়। এটাকে নিয়ন্ত্রণ কেউই করতে পারেনি—সরকারও না, আমরা ব্যবসায়ীরাও না। কোনোভাবেই করা সম্ভব না।’
তবে ক্যাব বলছে, বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের মনিটরিং তুলনামূলকভাবে কমেছে। এছাড়া দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি কমাতে সরকারের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করে সংগঠনটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।