ধর্ম ডেস্ক : মানুষের জীবনের অংশ ভুল। সবার জীবনের অভিধানে রয়েছে এই শব্দ। স্বভাবগতভাবেই রমজান মাসে রোজা অবস্থায় অনেক ভুল করে ফেলেন মুসলিমরা। অনেকের প্রশ্ন ভুলবশত কী করে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না।
ভুল করে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে না। [বুখারি শরিফ ১/২৫৯]।
মশা-মাছি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত পেটের ভেতর ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙবে না। [মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৬/৩৪৯]।
অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (এমনকি মুখ ভরে হলেও) রোজা ভাঙবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজেই ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙবে না। [তিরমিযী ১/১৫৩]।
রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা স্মরণ হওয়া মাত্র পানাহার ছেড়ে দিতে হবে। [মুসলিম ১/২০২]।
কোনো খাদ্যদ্রব্য বুট বা ছোট ছোলার কম পরিমাণ যদি দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে ও গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভাঙবে না [হিন্দিয়া ১/২০২]। তবে দাঁত থেকে বের করে হাতে নিয়ে স্বেচ্ছায় খেয়ে ফেললে রোজা নিশ্চিতভাবে ভেঙে যাবে। [হিন্দিয়া ১/২০২]।
কুলি করার পর পানির অবশিষ্ট আর্দ্রতা থুথুর সঙ্গে গিলে ফেললে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। [হিন্দিয়া ১/২০৩]।
ঘাম অথবা চোখের অশ্রুর দু-এক ফোঁটা যদি অনিচ্ছায় মুখে চলে যায়, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। [হিন্দিয়া ১/২০৩]।
কফ গলার মধ্যে চলে যায়, তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। [দুররে মুখতার ৩/৩৭৩]।
রোজা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃত মুখের মধ্যে ধুলাবালি ঢুকে গেলে রোজা ভাঙবে না। [দুররে মুখতার ৩/৩৬৬]।
গোসল করার সময় অথবা বৃষ্টিতে ভেজার সময় কানের মধ্যে অনিচ্ছায় পানি চলে যায়, তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে রোজা নষ্ট হবে না। [ফাতহুল কাদীর ২/৩৪৭]।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি রোজা রাখা। আল্লাহ প্রত্যেক সাবালক ও সুস্থ মুসলিম নর-নারীর ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। আল্লাহর সন্তুষ্ঠির লক্ষ্যে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্ত্রী সম্ভোগ, খাবার ও পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকার নামই রোজা। এই সময় স্ত্রী সম্ভোগ ও পানাহারে লিপ্ত হলে তার রোজা ভেঙে যাবে। তা ছাড়া নারীদের ঋতুস্রাবের কারণেও রোজা ভেঙে যায়।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.